ব্যাগ পদ্ধতিতে মুক্তা চাষ
লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা
🕐 ১:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০
মাগুরায় ব্যাগ পদ্ধতিতে স্বাদু পানিতে শুরু হয়েছে মুক্তা চাষ। মাগুরা সদরের রামনগর কেষ্টপুর গ্রামে তিন একর জমি নিয়ে ছয়টি স্বাদু পানির পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি ঝিনুকের মধ্যে মুক্তার চাষ শুরু করেন আবুল হোসেন খান। শুরুটা ইউটিউব দেখে হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের অভিজ্ঞদের পরামর্শে অনেকটা শখ করে এ খামার গড়ে তুলেছেন তিনি।
ঝিনুক পুকুর থেকে সংগ্রহ করে এতে প্রবেশ করানো হয় ইমেজ। পুকুরে স্বাদু পানিতে পরিপূর্ণভাবে মুক্ত হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ মাস। পুকুরে মাছ চাষের সঙ্গে ২৫ হাজার ঝিনুকের মধ্যে এক লক্ষ মুক্তা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন এই উদ্যোক্তা। তবে মুক্তাচাষিরা অভিযোগ করে বলেন, দেশের উৎপাদিত মুক্তা দেশে বা বিদেশে রপ্তানি করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই জন্য প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ।
ঝিনুক চাষির মতে, অতি অল্প খরচে মাছের সঙ্গে স্বাদু পানিতে মুক্তার চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেকার সমস্যা সমাধান হবে। মুক্তা চাষের উদ্যোক্তা আবুল হোসেন খান বলেন, করোনাতে বেশি সময় বাসা বাড়িতে থাকতে হয়।
এ সময় ইউটিউবটা একটু বেশি দেখা হয়। এক দিন ইউটিউবে দেখি একটা মেয়ে ঝিনুকের মধ্যে মুক্তা চাষ করছেন। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমি পটুয়াখালী একজন উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করি।
তারপর তিন একর জায়গায় মধ্যে ছয়টি পুকুরে ঝিনুকের মধ্যে মুক্তার চাষ শুরু করি। সব কয়টি পুকুরে মাছের সঙ্গে ঝিনুকের মধ্যে ব্যাগ পদ্ধতিতে মুক্তা চাষ শুরু করেছি। ঝিনুক ও মাছ পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত খামারের গোলাম হোসেন বলেন, আমার সপ্তাহে দুই বার ঝিনুক ও মাছে খাবার প্রদান করি। খাবারের মধ্যে রয়েছে গোবর ও সরিষার খৈল টিএসপি ইউরিয়া।
এতে মাছের যে খাবার প্রয়োজন হয় ঝিনুকের সেই খাবার লাগে। পাশাপাশি বাড়তি আয় হিসেবে মুক্তা পাওয়া যায়। খরচ কম অধিক লাভ রয়েছে এই চাষে।
কেষ্টপুর গ্রামের সুমন শেখ বলেন, আমি শুনেছি এখানে ব্যাগ পদ্ধতিতে ঝিনুকের মধ্যে মুক্তার চাষ হচ্ছে। আমি দেখতে এসেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে আমি আমার পুকুরে মুক্তার চাষ শুরু করব। অল্প খরচে এই মুক্তার চাষ করা সম্ভব।
মাগুরা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ হাসান সোহাগ বলেন, দেশের আবহাওয়া মুক্তা চাষের জন্য বেশ উপযোগী।