মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত হোক
সম্পাদকীয়
🕐 ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০
বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। করোনা প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও জনমানসে তার প্রতিফলন কম। মানুষ এখন আর করোনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা মাস্ক ব্যবহারের মতো আবশ্যিক বিষয়ও তারা মানছে না। সামনে শীত মৌসুমে দেশে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিচ্ছেন মাস্ক ব্যবহারের ওপর। অন্য পোশাকের মতো মাস্ককেও নিয়মিত পোশাকের তালিকায় রাখার পরামর্শ তাদের। এদিকে সরকারও পরিস্থিতি বিবেচনায় মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এদিকে মানুষের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাস্ক যদি আমরা সবাই ব্যবহার করি, তাহলে অটোমেটিক আমাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। সে জন্য মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করতে হবে। কোনোভাবেই পাবলিক প্লেস বা মসজিদ বা অন্য গ্যাদারিং, সামনে দুর্গাপূজা, যেসব অনুষ্ঠান হবে কোনো অবস্থায়ই কেউ যেন মাস্ক ছাড়া না আসে। এটা আরেকটু ইনফোর্স করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরাতে যেভাবে যতটুকু সম্ভব মানুষকে রিকোয়েস্ট, মোটিভেট করে বা ফোর্স যদি করতে হয়, আইন প্রয়োগ যদি করতে হয় আইন প্রয়োগ করব।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক দূরত্ব যেহেতু মানা সম্ভব হচ্ছে না, তাই মাস্ক পরে শরীরে করোনা প্রবেশ রোধ করতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা করার চেয়ে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রাখাই উত্তম উপায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি যদি হাঁচি-কাশি দেন এবং তিনি যদি মাস্ক পরা না থাকেন, তার সামনে ছয় ফুটের মধ্যে মাস্ক ছাড়া অসংক্রমিত ব্যক্তি থাকলে ভাইরাস তার চোখে মুখে বা নাকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অতএব সবার মাস্ক পরা জরুরি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ঘরে-বাইরে সব জায়গায়ই আমাদের মাস্ক পরা উচিত। ঘরে যদি আক্রান্ত কেউ থাকেন, তিনি তো মাস্ক পরেই থাকবেন এবং তার কাছাকাছি কেউ গেলে তাকেও মাস্ক পরে যেতে হবে। কবে ভাইরাস নির্মূল হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই মাস্কও নিত্যদিনের পোশাক হিসেবে পরার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, সবাই সার্জিক্যাল মাস্ক না পরে একবারে তিনস্তর বিশিষ্ট কয়েকটি কাপড়ের মাস্ক বানিয়ে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। একটা ব্যবহারের পর আধাঘণ্টা সাবান পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে অর্থাৎ অন্য পোশাক যেমন ব্যবহার করি সেভাবে ব্যবহারের অভ্যাস করা। মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষ রক্ষা পাক এটাই কাম্য।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228