দশম সংসদ অধিবেশন বসছে ৮ নভেম্বর
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৬:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০
চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন আগামী ৮ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। করোনা কালের অধিবেশনগুলোর মত এবারও কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই অধিবেশন চলবে। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এটি হতে পারে বিশেষ অধিবেশন। সংসদ সচিবায়ল সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর সংসদের নবম অধিবেশন শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত এ অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল ৫টি। আর আইন পাস হয়েছে ৬ টি।
সাংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশনের শেষ ও আরেক অধিবেশনের শুরুর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে চলতি বছরের মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সপ্তম, অষ্টম ও নবম অধিবেশন শেষ হয়েছে। এবারের অধিবেশনেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি মাথায় রেখেই আয়োজন চলছে। আগের তিনটি অধিবেশনের মত এবারও অপেক্ষাকৃত তরুন ও সুস্থ এমপিদের সংসদের যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আবারও সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ। এর আগে প্রস্তুতি শেষ করেও করোনার কারণে তা হয়নি।
জানা যায়, ভেস্তে যাওয়া আগের অধিবেশনের প্রস্তুতির মত এবারও বিদেশি অতিথিদের এই বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।
এছাড়াও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১০ টি কর্মসূচি নিয়েছে জাতীয় সংসদ। এর মধ্যে এখন বৃক্ষ রোপন চলমান রয়েছে। নভেম্বরে মুজিব বর্ষের ওয়েবসাইট উদ্বোধন, স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উদযাপন, মাসব্যাপী আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল প্রদশর্নী, ‘সংসদে বঙ্গবন্ধু’ বই প্রকাশনা, শিশুমেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে। ২২ ও ২৩ মার্চ এই অধিবেশন চালানোর কথা ছিল। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে তখন অধিবেশনটি স্থগিত করা হয়।
গত ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২(১) ধারা অনুযায়ী দুইদিনের এই বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছিলেন। দুইদিনের বিশেষ সেই অধিবেশনে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ও নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারির ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।