ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রায়হান হত্যা: পাঁচদিনের রিমান্ডে কনস্টেবল টিটু

সিলেট প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০

সিলেটে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে টিটু চন্দ্রকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পিবিআই। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমান পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে এসএমপি রিজার্ভ অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান জানান, টিটু চন্দ্রকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে টিটুর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে তারা এ জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দি দেয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান ও শামীম আহমদ। আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে নিজ জিম্মায় যেতে দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতন করার সময় তৌহিদ মিয়া নামে এক পুলিশ সদস্যের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের মরদেহ শনাক্ত করেন।

ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালান। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যে কাস্টঘর এলাকার কথা বলেছিল পুলিশ- সেখানে সিটি কর্পোরেশনের স্থাপন করা সিসিটিভির ক্যামেরায় ওই সময়ে এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

 

 
Electronic Paper