মঙ্গলবার সকালে শহরের গোলাশা রোড়ে আড়ত, বড় বাজার, স্টেশন বাজার, কালিবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে আলু শূন্যের দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এস.এস রোড (বড় বাজার) খুচড়া সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, সরকারী ঘোষণা মোতাবেক আলুর মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা। কিন্তু আড়ৎ থেকে কিনে বাজার পর্যন্ত আসতে খরচ হয় ৩৮ টাকা। তাহলে এই আলু বিক্রি করা আমাদের অসম্বব। শুধু তাই নয়, বেশি দামে আলু বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছে।
বাজারে সবজি আসা ক্রেতা দুলাল উদ্দিন ও নুর হোসেন, আলাউদিনসহ অনেকেই বলেন, নিত্যপন্যের মধ্যে আলু একটি জনপ্রিয় সবজি। যা সব তরকারীতেই মানানসই। কিন্তু অদৃশ্য কারণ ও সিন্ডিকেটের কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে আলু পাওয়া গেছে বাজারে।
আবার কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা বলছেন, আপন কতটুকু আলু লাখবে। চুপ থাকেন এনে দিচ্ছি। বিক্রেতা অন্য জায়গা থেকে আলু এনে দিচ্ছে। কিন্তু দৃশ্যমান আলু বাজারে দেখা মিলছেনা বলে জানান ক্রেতারা।
গোলাশা রোড়ের মেসার্স তন্ময় এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম জানান, সরকারী ঘোষণা মোতাবেক আলুর মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা। পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু কোল্ড স্টোরে রয়েছে। কিন্তু আলুর মূল্য সরকার নির্ধারণ করায় কমদামে কোল্ড স্টোরের মালিকরা আলু বাজারজাত করছেন না। এ জন্য মোকাম থেকে আমরা আলু সংগ্রহ করতে পারছি না। এ জন্য আলু বাজারে নেই।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত) মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, ইতিমধ্যেই আলু ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক বরাবর মৌখিকভাবে অবগত করেছেন যে, আলু বেশি দামে ক্রয় করে কম দামে বিক্রি করা আমাদের সম্ভব না। তাই আমরা এখন আলু ক্রয় করছি না। আলুর মূল্য পুর্ণরায় নির্ধারণ হলে আবার আমদানি করব।