পদ্মা সেতুর প্রায় ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ২:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০
পদ্মা সেতুতে ৩২তম স্প্যান বসানোর ৮দিন পর বসানো হলো ৩৩তম স্প্যান। ১৯ অক্টোবর, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর ‘ওয়ান সি’ নামে স্প্যানটি বসানো হয়। ফলে পদ্মা সেতুর প্রায় ৫ কিলোমিটার (৪ হাজার ৯৫০ মিটার) দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতুর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিয়েছিল। সবকিছু পাশ কাটিয়ে সেতুর কাজ দ্রুত চলছে। বর্তমানে পদ্মায় পানির গভীরতা অনুকূলে আসায় প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজে গতি এনেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি নির্দিষ্ট পিয়ারের দিকে যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ‘ওয়ান সি’ নামের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের কাছে পৌঁছায়। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্প্যানটি বসানো হয়।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর বসানো হয় পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যানটি। ৯ দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এ স্প্যান। ৩২তম স্প্যানের চার মাস আগে গেলো ১০ জুন বসানো হয় পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যানটি। পদ্মা সেতুতে ৩৩তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে আর বাকি থাকলো ৮টি স্প্যান। বাকি স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রয়েছে। তার আগে বন্যা ও পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে চার মাস পর গেলো ১১ অক্টোবর বসানো হয় ৩২তম স্প্যানটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্ট্রিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।