এক সপ্তাহের মাথায় ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা
জেলা প্রতিনিধি
🕐 ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০
অভিযোগ গঠনের এক সপ্তাহের মাথায় সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বাগেরহাটের মোংলায় আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামি আব্দুল মান্নান সরদারকে (৫০) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. নূরে আলম এ রায় দিলেন।
১৯ অক্টোবর, সোমবার দুপুর ১২টায় জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করেন।
এর আগে ১৮ অক্টোবর, রোববার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক। এর মধ্য দিয়ে দেশের বিচারাঙ্গনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে যাচ্ছে। কারণ, দেশে শিশু ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর ফৌজদারি মামলায় এত কম সময়ে বিচারকাজ শেষের নজির এটিই প্রথম।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল জানান, এই ধরনের ফৌজদারি মামলায় দেশের কোনো নিম্ন আদালতে এত কম সময়ে বিচারকাজ শেষ হয়নি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মাকড়ঢোন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পিতৃহীন সাত বছর বয়সী এক শিশু তার মামাবাড়িতে থেকে বড় হচ্ছিল। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আবদুল মান্নান সরদার (৫৩) শিশুটিকে চকলেট-বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এই ঘটনা জানাজানি হলে সেদিন রাতেই মেয়েটির মামা মোংলা থানায় আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন এবং পুলিশ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ মুখার্জি ধর্ষণের সত্যতা পেয়ে আট দিনের মাথায় আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল জানান, মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে পাঠান। আদালতের বিচারক গত ১১ অক্টোবর মামলাটি আমলে নিয়ে পরদিন অভিযোগ গঠন করেন। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ১৪ অক্টোবর মামলার সংশ্লিষ্ট সাক্ষী চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। ১৫ অক্টোবর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। গ