ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজশাহীর পদ্মায় বালু অবৈধভাবে উত্তোলন

রাজশাহী ব্যুরো
🕐 ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাতলি ইউনিয়নের রানীনগর মৌজার বালুমহালের ইজারা নিয়ে রাজশাহীর পদ্মায় অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। সেই বালু নিতে সড়কে দিনভর চলছে ভারী ট্রাক-লরি। নির্দিষ্ট ওজনের বেশি ভার বহন করতে না পেরে ভেঙেচুড়ে একাকার সড়ক। এদিকে নিষেধাজ্ঞার পরও বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙনের শঙ্কা, হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। অন্যদিকে বালুপরিবহনে চারদিক বালুময় হয়ে বিপর্যস্ত করে তুলছে জনজীবন। অবৈধ এই বালু উত্তোলন রুখতে প্রশাসনের নজরদারির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও পরিবেশ সচেতনমহল। তাদের অভিযোগÑ স্থানীয় প্রভাবশালী দুই বালু সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে বহুদিন ধরে চলছে এসব।

তবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে নাকি জানেন না গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড)। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনির হোসেন বকুল নামের এক বালু ব্যবসায়ী ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বালুমহালটি ইজারা নেন। বালুমহাল রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। ওই বালুমহালের নামে একটি সিন্ডিকেট রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ ও সারাংপুরে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মজুদ এবং পরিবহন করছে বলে রয়েছে অভিযোগ। এর মধ্যে সারাংপুরে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলে চরে ট্রাক নামিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। আরও জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম নামে আরেক বালু-ব্যবসায়ী রাজশাহী জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় সোয়া চার কোটি টাকায় গোদাগাড়ীর ৫ ও ৬ মৌজার দুটি বালুমহাল ইজারা পেলেও বালু তুলতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় দুই ব্যক্তির প্রভাব খাটিয়ে সেখানে বালু তুলছেন ওই মনির।

ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এদিকে জাহাঙ্গীর বালু তুলতে না পারলে ইজারার টাকা উঠবে না বলে করেন অভিযোগ। তবে এলাকাবাসী জানান, যেই তুলুক না কেন, তা পরিবেশকে অতিষ্ট করে তুলেছে। রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে। চারদিক হয়ে পড়ছে বালুময়। আর তৈরি করছে নদীভাঙনের আশঙ্কা।

‘স্থানীয় দুই সিন্ডিকেট প্রধান’ এর একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালুমহালে ইজারাদার মনির হোসেন বকুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আনারুল বিশ্বাস তার বালুমহাল থেকে ৫০ পয়সা সেফটি বালু কিনে নিয়ে গিয়ে গোদাগাড়ীতে মজুদ করে। সেখান থেকে তিনি বালু বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইজারায় গোদাগাড়ীর সারেংপুর ও সুলতানগঞ্জ এলাকায় বালু উত্তোলন ও মজুদ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। সে সময় সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে নতুন করে বালু তোলার বিষয়টি জানা নেই।

 
Electronic Paper