ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাড়িতে থেকেই সাজা ভোগ, করতে হবে বাবা-মায়ের সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২০

সুনামগঞ্জে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত একযোগে পৃথক ১০ মামলায় অভিযুক্ত ১৪ শিশুকে ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন সুনামগঞ্জ শিশু আদালত। বখাটেপনা ও মাদক গ্রহণের দায়ে কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশনে সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের নিজ বাড়িতে থেকে সাজা ভোগ করার আদেশ দেওয়া হয়।সাজা চলাকালীন সময়ে শিশুরা মা-বাবার সেবা করা ও নির্দেশ মেনে চলা, নিয়মিত ধর্মীয় অনুশাসন, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ, ২০টি গাছ লাগানো ও পরিচর্যা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ এবং মাদক সেবন না করাসহ ৭ প্রবেশন শর্ত মেনে চলবে।

১৪ অক্টোবর, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একসঙ্গে ১০টি পৃথক মামলায় রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। দীর্ঘদিন বিচারকার্য শেষে এ দশটি মামলায় রায়ের জন্য তারিখ ধার্য ছিল এদিন।

আদালত সূত্রে জানা যায় সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের অপারাধের মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা গ্রহণ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি ভিকটিমের ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, পুলিশকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলে বাধা প্রদান ও আসামি পলায়নে সহায়তা, শ্লীলতাহানি, লাঠি দিয়ে মারপিট, মাদক রাখা এবং জুয়া খেলা।

আদালত রায়ে শিশুদের প্রবেশন দেওয়ার উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘পারিবারিক বন্ধনে রেখে শিশুদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং প্রবেশন কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে রেখে শিশুদের তাদের ভবিষ্যৎ অপরাধে না জড়ায় এবং জীবনের শুরুতেই যাতে তাদের অপরাধের কালিমা স্পর্শ না করে সে জন্য শাস্তি না দেয়া। এবং সংশোধনাগারে অন্যান্য অপরাধীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রেখে পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাদের যাতে মানসিক বিকাশ ঘটে এবং শিশুদের সার্বিক কল্যাণ সাধন হয়’।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর পিপি নান্টু রায় জানান, দশটি পৃথক মামলায় ১৪ জনকে এ প্রবেশন শর্তে একজন প্রবেশন কর্মকর্তা ও পরিবারের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়েছে।

 
Electronic Paper