বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
‘গুচ্ছ পদ্ধতি’র পরিকল্পনা সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৮, ২০২০
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে মহামারীর মধ্যে সেই পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হবে কি না, সেই সংশয়ের কথাও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি সমন্বিত পদ্ধতিতেই আমরা সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারব। সেই পরীক্ষাগুলো কীভাবে হবে, গুচ্ছপদ্ধতি কেমন হবে, তখনকার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ এখনো তিন মাস বাকি আছে। তিন মাস পরে সেই মূল্যায়নের জন্য কী পরিস্থিতি হয় তার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও মতামত দেবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কমিটির পূর্ণাঙ্গ পরামর্শ পাব। আমি কি এখন নিশ্চয়তা দিতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও সশরীরে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে?
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো কী পদ্ধতিতে নেওয়া হবে সেটি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। এ মুহূর্তে সেসব বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে যাওয়া সমীচীন হবে না।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটির আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয় বলে শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে পরীক্ষা দিতে হয়।
একই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। আবার এক দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার তারিখ পড়লে শিক্ষার্থীকে যে কোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হয়।
শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগ লাঘবে সমন্বিত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। কিন্তু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তিতে এ উদ্যোগ পরিপূর্ণ ফলপ্রসূ হয়নি।