তরুণীকে না পেয়ে বাবাকে মারধর
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৭, ২০২০
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় একবার আটকে রেখে ধর্ষণ করা তরুণীকে (২৭) আবার বাড়িতে খুঁজতে এসে না পেয়ে বখাটেরা তার বাবাকে (৬৫) পিটিয়েছে। গত সোমবার রাতে আলীগঞ্জ বাজারের কলোনি এলাকায় তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। মারধরের শিকার বৃদ্ধ আনোয়ার আলী তার ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটক চারজন হলেন- লিটন মিয়া (৩০), আকাই মিয়া (২৭), আলম মিয়া (২৮) ও দিলাক মিয়া (২৫)। তবে প্রধান অভিযুক্ত শামীম মিয়াকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সাত বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি জগন্নাথপুরে বাবার বাড়িতে চলে যান। বখাটে শামীম মিয়া ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এক মাস আগে শামীম তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। কিছুদিন আটক রেখে তাকে ধর্ষণ করেন বলে মেয়েটি অভিযোগ করেন।
শামীমের হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে যান। সোমবার রাত ১২টার দিকে বখাটে শামীম তার লোকজনকে নিয়ে মেয়েটির বাবার বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। ভিডিওতে বৃদ্ধের হাতে, পিঠে ও পায়ে রডের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
মেয়েটির বাবার অভিযোগ, বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। মেয়েকে ধর্ষণের বিচারও পাননি তিনি। মেয়েকে না পেয়ে শামীম ও তার লোকজন আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান বলেন, শামীম এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় চুরি ও মাদকের মামলা আছে। মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করা ও জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমি লোকমুখে শুনেছি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মুসলেহ উদ্দিন বলেন, শামীমকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।