বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০১, ২০২০
নতুন করে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেশের লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে গেছে মাছ। কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। এদিকে খাদ্য সংকট ও গবাদিপশু নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দিরা। আমাদের বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের তথ্যে এবারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে থাকছে আমাদের এবারের প্রতিবেদন।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, জেলার সিংড়ায় বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। সিংড়া পৌর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার তোড়ে সিংড়া-বলিয়াবাড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিনিধি আরও জানান, আত্রাই নদীর পানি ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলা কৃষি ও মৎস্য অফিস জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফা বন্যায় ২৫’শ হেক্টর রোপা আমন, ৭ হেক্টর সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও বন্যায় ভেসে গেছে ১৩’শ পুকুর। সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে ও বন্যাকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
রাজশাহী থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, বন্যার কবলে পড়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি থেকে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন এসব অঞ্চলের দিনমজুর-ক্ষেতমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। পর্যাপ্ত ত্রাণ না মেলায় অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।
অভাব দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, বন্যায় কোনো এলাকার মানুষ অখুক্ত নেই। প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরে শতাব্দীর সেরা বর্ষণে শত শত পুকুর, খাল ও নাছনিয়া বিলের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মৎস্য চাষীদের দাবি প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বর্ষণে বের হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় কয়েকশ মৎস্য চাষি পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। নগরীর চিকলী, কুকরুল ও চকচকার বিলেরও অবস্থা একই।
রংপুর বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপপরিচালক মো. সাইনার আলম জানান, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।