ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নীলফামারী শহরে জলাবদ্ধতা

নীলফামারী প্রতিনিধি
🕐 ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০

নীলফামারীতে ভারী বর্ষণে জেলার নিন্মঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে নীলফামারী শহরের বিভিন্ন রাস্তা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে ঘর থেকে বেরুতে পারছেন না অনেকে।

বিকালে কথা হয় শহরের বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুল্লা মন্টুর (৫৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ড্রেনে ময়লা জমে থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমার ঘরের মেঝেতে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ পানি জমেছে।

প্রগতিপাড়ার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (৪৫) বলেন, একঘণ্টার বৃষ্টিতেই প্রগতিপাড়া হয়ে বাজারে যাওয়ার রাস্তাটি ডুবে যায়। তেমনি শহরের বাবুপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ির সামনের রাস্তা ডুবে গেছে। পানি নিষ্কাশনের অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবস্থা যেটুকু আছে সেটিতেও কাদা-মাটি ভরে থাকার কারণে নিষ্কাশন হতে সময় লাগছে।

তিনি জানান, তার এলাকার মতো প্রগতিপাড়া, বাবুপাড়ার অবস্থাও একই।

এদিকে শহরের বাবুপাড়া এলাকার মকছেদ আলী (৫৫) বলেন, আগে বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যেত এলাকা থেকে। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময় জমে থাকছে। ড্রেনে কাদামাটি ভরে থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ির সামনে হাঁটুপানি জমে থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ থেকে শুক্রবার শহরের বাবুপাড়ায় ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন এনজিওকর্মী পরেশ চন্দ্র রায় (৪৫)। ভাইয়ের বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটুপানি জমে থাকতে দেখে বিপাকে পড়েন তিনি।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতায় আমার ভাইয়ের বাড়ির আঙিনা ও উঠানে পানি জমে আছে। পুরো দিন সেখানে অবস্থানের কথা থাকলেও পানির অস্বস্তিতে অল্প সময়ের মধ্যে চলে যেতে বাধ্য হয়েছি।

জেলা সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের রিকশাচালক আবুল কাশেম (৩০) বলেন, বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন কম। এ অবস্থায় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের কিছু কিছু রাস্তায় পানি জমে থাকায় রিকশা নিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না।

এদিকে জেলাজুড়ে টানা বর্ষণে তিস্তা, বুড়িতিস্তা, চাড়ালকাটা, ধাইজান, বুড়িখোড়া, দেওনাইসহ ছোটবড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ডুবে গেছে নিন্মঞ্চলের ফসলি জমি।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

 
Electronic Paper