চড়া বাজারে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
করোনা মহামারি এমনিতেই অনেকের জীবিকা কেড়ে নিয়েছে। লাগামহীন বাজারমূল্য আরও ভোগাচ্ছে শহরের মানুষদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর্থিক সামর্থ্যবানদের না ভোগালেও মধ্যবিত্ত ভালো ঝাঁকুনি খেয়েছে। আর নিম্ন আয়ের মানুষদের বেঁচে থাকা হয়েছে সংগ্রাম। রাজধানীতে বেশকিছু বাসিন্দার সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়। ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে মার্কেটিং এর কাজ করেন তৌকীর রহমান। মাসে বেতন পান ১৭ হাজার। দুই রুমের ছোট ফ্ল্যাটে থাকেন। অফিসে যাওয়া-আসা ও বাসা ভাড়ার পর সবজির বাজারে গেলে তাকে জটিল অংক কষতে হয়। কীভাবে পরিবার নিয়ে ঢাকায় টিকে থাকবেন ভেবে পান না।
তিনি বলেন, চাল, তেল, আলু, ডাল, পেঁয়াজ বা কাঁচামরিচ এমন কোনো পণ্য নেই দাম বাড়েনি। মাছ-মাংস সপ্তাহে একবার কিনতে গেলে দশবার ভাবতে হয়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারই বেশি অস্থির। দু-একটা বাদে বেশিরভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। কয়েকটা সবজির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়, পেঁপে ৪০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৭০ টাকা, পাকা টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৫০-৬০ টাকা, শিম ১২০-১৪০ টাকা, গাজর ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়।
এছাড়া, গত বছরের তুলনায় এখন সুপার পাম অয়েল ২৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লুজ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি দামে। লুজ পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
৪০ টাকার নিচে আলুর নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আলুভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়াটাও হয়েছে মুশকিল। মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম গত বছরের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মসুর ডাল ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং ছোট দানার ডালের দাম ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে।
দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ কিনতে লাগছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বেড়েছে চালের দামও। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় মোটা চালের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।