ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘নিহত’ কিশোরী জীবিত উদ্ধার, হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ-শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি’ আদায়-সংক্রান্ত বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫ তারিখ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার এক স্কুলছাত্রী গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯)। তাদের ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়। দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)।

গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেন আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে। সে নিজে তার মাকে একটি দোকান থেকে কল করে চার হাজার টাকা চায়।

বাবা-মা এতে অবাক হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে তারা থানায় হাজির হন। তাদের সঙ্গে ছিল কিশোরীর স্বামী ইব্রাহিম। তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এরপর ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুলছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে একটি রিভিশন দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির।

এর আগে রাষ্ট্র ও আবেদনকারী উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। পরে আদেশের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।

 

 
Electronic Paper