ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাগ্য বদলাবে পাতকুয়া

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী
🕐 ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) লো লিফ্ট পাম্প (এলএলপি) ও পাতকুয়া স্থাপনে এখন পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। পবার হরিপুরের চরমাঝারদিয়াড়ে এরই মধ্যে এই সেচের আওতায় চাষিরা সবজি ও ফলের আবাদে ঝুঁকছেন। পদ্মা নদী থেকে এই এলএলপির মাধ্যমে চর এলাকার তিনশ’ থেকে পাঁচশ’ বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা পাবেন চাষিরা। এছাড়াও প্রতিটি পাতকুয়া থেকে সেচ দিয়ে সবজি আবাদ করা যাবে ৩০-৩৫ বিঘা জমিতে।

বিশেষ করে পাতকুয়া থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ পাচ্ছে কৃষক পরিবার। এছাড়াও পতিত কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে পারছেন তারা। ফলে একদিকে যেমন বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছেন এবং অন্যদিকে সবুজ হচ্ছে পতিত জমি। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

চরমাঝারদিয়াড়ে গত সোমবার একটি এলএলপি ও ছয়টি পাতকুয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (এসডাব্লুউআইপি) শরীফুল হক। প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব পাতকুয়া ও এলএলপি। যা সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমে (সৌর বিদ্যুতে) চলবে।

রাজশাহীর পদ্মা নদীর ওপারে পবা উপজেলায় চরমাঝারদিয়াড়। এতদিন সুপেয় পানি ও সেচের পানির জন্য গ্রীষ্মকালে ব্যাপক সমস্যা হতো এই চর এলাকার মানুষের। তবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পাতকুয়া থেকে পানি পাওয়ায় সেই চর অঞ্চলে এখন পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে।

এখন জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ, মরিচ চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, আলু আবাদের জন্যও পানি পাচ্ছেন চর অঞ্চলের মানুষ। সবজি আবাদের পাশাপাশি তারা ফলের আবাদে মেতেছেন। বিশেষ করে আম, পেয়ারা ও কলা চাষ করছেন। চরের এই বিষমুক্ত ফলের চাহিদা, মান ও দাম সবই বেশি। চাষিরা এখন সবজির পাশাপাশি ফলের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।

পবার হরিপুরের চরমাঝারদিয়াড়ে সুপেয় পানি ও সেচের জন্য এলএলপি (নদী থেকে পানি উঠানো) এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পাতকুয়া থেকে পানি উত্তোলন পদ্ধতি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পর্যবেক্ষণমূলক চালু আছে। আর এতেই চরবাসীর জীবনমান, সবুজায়ন ও আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ পাতকুয়ার সফলতা নিয়ে এখন অনেক আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

 

 
Electronic Paper