ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে তিন ব্যাংকের

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০

তিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে চার হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর-জুন ৯ মাসের ব্যবধানে এ মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। মূলধন ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হলোÑ অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও জনতা।

৯ মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতি বেড়েছে জনতা ব্যাংকের। ব্যাংকটির জুন প্রান্তিকে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৩৩ কোটি টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ দুই হাজার ৬৩৬ টাকা। এরপরই রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ। ৯ মাসে ব্যাংকটির মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৪৫১ কোটি টাকা।

বর্তমানে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দুই হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকটির মূলধান ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭৪৪ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের বর্তমান মূলধন ঘাটতি এক হাজার ৪২ কোটি টাকা; সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৬২ কোটি টাকা। অন্যদিকে মূলধন ঘাটতি কমানোর সুখবর দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, বিডিবিএল ও রুপালী ব্যাংক। রুপালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি কমিয়ে ১৫৯ কোটি টাকাতে নামিয়ে এনেছে। সোনালী ব্যাংক ও অপর রাষ্ট্রায়ত্ত বিডিবিএল ব্যাংক যথাক্রমে ৩ কোটি টাকা টাকা ও ৫১৭ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর শেয়ারহোল্ডার বা মালিকদের জোগান দেওয়া অর্থই মূলধন হিসেবে বিবেচিত হয়। সারা বিশ্বে ব্যাসেল কমিটি প্রণীত আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে একটি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মালিক রাষ্ট্র হওয়ার কারণে গ্রাহকের সব ঝুঁকি রাষ্ট্রই বহন করে থাকে। এক্ষেত্রে মূলধন ঘাটতি থাকলেও গ্রাহকের ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতিমালার প্রশ্নে ঝুঁকি থেকে যায়। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সুশৃঙ্খল অবস্থায় না থাকার কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে প্রভিশন ঘাটতিও বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মূলধন ঘাটতিতে। সরকারের বর্তমানে মেয়াদে খেলাপি ঋণে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

পাশাপাশি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ ও কিস্তি দেওয়ার স্থগিত করার কারণে মূলধন ঘাটতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় তিনটি ব্যাংক ভালো করলেও অন্যগুলো পারেনি।

মূলধন ঘাটতিতে থাকা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, কম্যুনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। দেশের দুই বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আট হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি ব্যাংকের মূল ঘাটতি রয়েছে ৮১২ কোটি টাকা।

 

 
Electronic Paper