প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে জার্মানিতে (১৪৬ কোটি ২০ ডলার)। পরের তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) ৬৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। অর্থাৎ রপ্তানি কমেছে ৭৮ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

পোশাক রপ্তানির দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে তিন মাসে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৭৭ কোটি ডলার। যদিও আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছিল ১৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ কমেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত এই সাত মাসে দেশটির পোশাক আমদানি কমেছে প্রায় ৩১ শতাংশ। এ সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যে এপ্রিল-জুন মাসে মাত্র ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) রপ্তানি করেছিল ৯৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

শীর্ষ চারে থাকা স্পেনে করোনাকালীন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। তার আগের রপ্তানি হয়েছিল ৬০ কোটি ১৩ লাখ ডলার।

তিন মাসে নেদারল্যান্ডসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। আগের তিন মাসে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছিল ২৫ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।

ফ্রান্সে এ সময়ে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে এর পরিমাণ ছিল ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

ইতালিতে রপ্তানি হয়েছে ১৯ কোটি ডলার। তার আগের তিন মাসে দেশটিতে রপ্তানি হয় ৩২ কোটি ১১ লাখ ডলার।

করোনাকালে কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে এর পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

বেলজিয়ামে রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে রপ্তানি হয়েছিল ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার প্রকোপ ছিল বেশি। এ জন্য ওই দেশগুলোতে রপ্তানি অর্ধেকে নেমেছে।