বরিশালে বার্ন ইউনিটে নেই চিকিৎসক
বরিশাল ব্যুরো
🕐 ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চিকিৎসক সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে।
গত ২৮ এপ্রিল নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে বরিশাল মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক এম এ আজাদ সজলের লাশ উদ্ধার হয়। তিনিই ছিলেন এ বার্ন ইউনিটের একমাত্র চিকিৎসক। তার মৃত্যুর পর মে মাস থেকে এ বিভাগের চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে পোড়া রোগীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে ঢাকায়।
এ বিষয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বিভাগে ৩০টি বেড। তবে সবসময় রোগী ভর্তি থাকত ৪০ থেকে ৪৫ জন। চালু হওয়ার পর থেকে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত কয়েক হাজার আগুনে পোড়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন এখানে। বরিশাল বিভাগে আগুনে পোড়া রোগীদের একমাত্র ভরসা ছিল এই বার্ন ইউনিট। এখন হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের অধিকাংশকেই ঢাকায় পাঠাতে হয়।
আরও জানা গেছে, এ বিভাগে চিকিৎসক সঙ্কট শুরু থেকেই। তবে অন্যান্য জনবল প্রয়োজন অনুযায়ী রয়েছে।
চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রাখতে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. শাখাওয়াত হোসেনকে এই বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে ৬ মাস ধরে তিনিও ছুটিতে আছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, এ বিভাগে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রধান অস্ত্র চিকিৎসক নেই। এ হাসপাতাল ৫০০ থেকে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হয়েছে অনেক আগে। তবে সব জায়গায় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি এখনো। এর মধ্যে সামাল দিতে হচ্ছে ১৫০ বেডের করোনাভাইরাস ইউনিট। অথচ আমাদের ২২৪টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ১২৬টিই শূন্য। চিকিৎসক সংকটের মধ্যে জোড়াতালি দিয়েই চালাতে হচ্ছে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সেবা চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, এটি চালু করা হয়েছিল ২০১৫ সালে। চিকিৎসক সঙ্কট সমাধানের জন্য জনবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।