গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দফতরে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন- পরিবার পরিকল্পনা দফতরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল আলিম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএসএম সিরাজুদ্দোহা, সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শরাফত হোসাইন প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আমাদের সবাই মিলে এ কর্মসূচি সফল করতে হবে। সিভিল সার্জন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শতভাগ সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় জানানো হয়, এ বছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি করপোরেশন ও দুটি পৌরসভায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৪০ হাজার ৫২০ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষ্যে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে পক্ষকালব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ওইদিনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এছাড়া ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই, ইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লাখ আই, ইউ) খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নিমূর্লের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা, শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, হাম ও মারাত্মক অপুষ্টি থেকে দূরে রেখে একই সঙ্গে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার শুধু টিকা কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।