ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বয়স তাদের বাধা হতে পারেনি

বিনোদন ডেস্ক
🕐 ৫:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

জনপ্রিয় নায়ক না হয়েও সুদর্শন সঞ্জয় কপূর অনুরাগিণীদের হৃদয়ে ঝড় তুলতে পেরেছিলেন। পর্দার বাইরে তার রঙিন জীবনে এসেছেন একাধিক বিশেষ বান্ধবী। সঞ্জয় কপূরের প্রথম ছবি ‘প্রেম’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৫-তে। ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন টাবু। ছ’বছর ধরে কাজ চলার পরে মুক্তি পেয়েছিল ‘প্রেম’। শুধু ছবির নাম বা অনস্ক্রিন রসায়ন নয়, শোনা গিয়েছিল শুটিংয়ের বাইরেও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এর নায়ক-নায়িকার।

কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে এও শোনা যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’জনের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত দু’জনে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণেই দীর্ঘ দিন ধরে ছবির কাজ চলেছিল।

পরে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় স্বীকারও করেন, তিনি টাবুর প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। তবে টাবু কোনও দিন এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি।

‘সির্ফ তুম’ ছবিতে সঞ্জয়ের নায়িকা ছিলেন সুস্মিতা সেন। তার সঙ্গেও নাকি বিশেষ সম্পর্ক ছিল নায়কের। কিন্তু সঞ্জয়-সুস্মিতা প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কী কারণে ভেঙে গিয়েছিল সম্পর্ক, জানতে দেননি তারা।

ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ছিল, দীর্ঘাঙ্গী সুন্দরীদের প্রতি দুর্বলতা আছে সঞ্জয়ের। সেই রটনাকে কিছুটা সত্যি প্রমাণ করেই টাবু এবং সুস্মিতার পরে তার জীবনে আসে মহদীপ সন্ধু।

মহদীপের জন্ম অস্ট্রেলিয়ার পারথে। মডেলিং এবং অভিনয় করার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন বলিউডে। কিন্তু মহদীপের প্রথম ছবি‘শিবম’ মুক্তি পায়নি। এরপর তাকে দেখা যায় শুধু একটি মিউজিক ভিডিওতে। ২০০২ সালে মহদীপকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। বিয়ের পরে অভিনয় বা মডেলিং, কোনওটাই করেননি মহদীপ। এখন তিনি প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি ডিজাইনার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়।

সঞ্জয় চেয়েছিলেন জনপ্রিয় নায়ক হতে। কিন্তু পারেননি। মহদীপেরও নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। কিন্তু দু’জনের স্বপ্নভঙ্গের ছায়া পড়েনি তাঁদের সম্পর্কে। সঞ্জয় এবং মহদীপের বয়সের ব্যবধান সতেরো বছরের। কিন্তু সেই ব্যবধানও তাদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বলিউডের বাকি তারকাদের কাছেও সঞ্জয়-মহদীপ জুটি ঈর্ষণীয়।

ব্যক্তিগত জীবনকে তারা পেশার দুনিয়া থেকে দূরেই রাখেন। মেয়ে শানায়া এবং ছেলে জাহানকে তাদের নিভৃত সংসারে প্রবেশ করে না বলিউডি গ্ল্যামারের রোশনাই। খবর: আনন্দবাজার।

 
Electronic Paper