ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ১৯৬০ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সদ্য স্বাধীন কঙ্গোর প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন প্যাট্রিস লুমুম্বা। কিন্তু কয়েক মাস পরই সেনা অভ্যুত্থান ঘটে দেশটিতে। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মোবুতু সেসে সেকো। তখন লুমুম্বাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ১
৯৬১ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করে। এমনকি যাতে তার কবর তীর্থস্থানে পরিণত না হয়, সেজন্য লুমুম্বার মরদেহও অ্যাসিডে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার পর সেখানে উপস্থিত থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা সে দাঁত সরিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এ দাঁত সত্যিই লুমুম্বার কি-না, তা নিশ্চিত হতে প্রয়োজন ডিএনএ টেস্ট। কিন্তু বেলজিয়ামের ফেডারেল প্রসিকিউটরের দফতরের মুখপাত্র এরিক ফন ডুয়েসে জানান, এ দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষা করার উপায় নেই। এমন টেস্ট করতে গেলে দাঁতটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিচারকরা অবশ্য যেখান থেকে এ দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এটি যে লুমুম্বারই তা নিশ্চিত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ডুয়েসে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
প্যাট্রিস লুমুম্বার মেয়ে জুলিয়ানা জানিয়েছেন, এ রায়ে তার পরিবার অনেক খুশি। তিনি বলেন, এটা একটা দারুণ বিজয়। যে দেশ ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আমার বাবা প্রাণ দিয়েছেন, মৃত্যুর ৬০ বছর পর তার মরদেহের অবশিষ্টাংশ তার পূর্বপুরুষের মাটিতে অবশেষে ফেরত আসছে। প্যাট্রিস লুমুম্বার ছেলে ফ্রাঁসোয়া লুমুম্বা বলেন, তিনি মনে করেন বেলজিয়াম সরকারের উচিত দ্রুত এ দাঁত কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া।