মাগুরায় যাত্রী ছাউনি নির্মাণে বাধা দেওয়ায় হামলার অভিযোগ
মাগুরা প্রতিনিধি
🕐 ৭:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
মাগুরায় ওয়াপদা স্ট্যাণ্ডে যাত্রী ছাউনি নির্মাণে বাধা দেওয়ায় শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল মান্দারতলা গ্রামের ৯টি বাড়ি এবং একটি তুলার কারখানায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর, নাকোল এবং রায়নগর গ্রামের অন্তত দুইশত লোকজন জড়ো হয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার মুন, ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক আলামিন শেখ, তার ভাই ইমরান শেখ, রবিউল শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন মণ্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক বড় ভাই ইনামুল হক এবং যুবলীগ কর্মী চঞ্চল শেখের বাড়িসহ মোট ৯টি বাড়ি ও একটি তুলার কারখানায় ব্যাপক ভাংচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়িঘর থেকে মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নাকোল ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিত বলেন, সরকারি জায়গাতে যাত্রী ছাউনি বানানো হচ্ছে। এটি স্থানীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের কমিটমেন্ট। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা মুন বিরোধিতা করে বাজারে দাঁড়িয়ে আমার এবং এমপির বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। যে কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকে বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মাগুরা-ফরিদপুর সড়কের ওয়াপদা বাজারে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বাজারের কিছু ব্যবসায়ীর চলাচল ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় কয়েকফুট সরিয়ে নির্মাণ কাজ চলানোর দাবি জানান তারা। বিষয়টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু এবং নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিতের কাছে জানানো হয়। পঙ্কজ কুন্ডু বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিলেও হুমায়নুর রশিদ মুহিত ওই স্থানেই যাত্রী ছাউনি নির্মাণের বিষয়ে অটল থাকেন। এ অবস্থায় শনিবার সকালে জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার বাজারে নির্মাণ কাজ শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতা মুন এবং স্থানীয় ব্যবসায়িরা বাধা দেয়। যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার সকালে চেয়ারম্যান মুহিত সমর্থিত শতশত লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে বলে তাদের দাবি।
হামলা ভাংচুরের শিকার জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার মুন বলেন, ব্যবসায়িদের স্বার্থে যাত্রী ছাউনিটি সরিয়ে নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু মুহিত চেয়ারম্যান জোর করেই সেটি করতে চান। এর বিরোধিতা করায় তিনি বিভিন্ন গ্রাম থেকে শতশত লোক জড়ো করে কাপুরুষের মতো বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট চালিয়েছেন। আর এমপি আমাদের নেতা। তাকে অসম্মান করার প্রশ্নই ওঠে না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলি আহমেদ মাসুদ জানান, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।