ইতিমধ্যেই জাতটি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চারা তৈরির জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে গবেষণা কেন্দ্র, যাতে তারা আগামী বছরে কৃষক পর্যায়ে চারা বিতরণ শুরু করতে পারে।
এই আম নাবী জাতের হওয়ায় রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি দেশের বাজারেও এর চাহিদা বেশি হবে বলে আশাবাদী, জাতটির উদ্ভাবনী গবেষক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দিন।
তিনি জানান, রঙিন আমের জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালের বাংলাদেশের বারি আম-৩ ও আমেরিকার ফ্রোরিডা থেকে সংগ্রহ করা পালমার রঙিন আমের জাত দুটির সংস্কারায়ন করা হয়। গবেষণা মাঠে দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণে নতুন এ জাতটিতে আশানুরূপ ফলাফল মিলেছে।
এ জাতের আম লম্বাটে ও মাঝারি আকৃতির হয়, গড় ওজন ২২০ গ্রাম, সবচেয়ে বড় বিষয়, এটি নাবী জাতের, উচ্চফলনশীল ও নিয়মিতই ফল দেয়, শেষ জুলাই থেকে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এ আম সংগ্রহ করা যায়, পরিপক্ক সংগৃহীত আম সাধারণ তামমাত্রায় ৮ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এ আমের ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৪ দশমিক ৬৭ ভাগ, মিষ্টতা ২১ ভাগ।
এ গবেষক বলেন, আমার ১৫ বছরের শ্রম অবশেষে আলোর মুখ দেখল, দেশের জন্য কিছু একটা করতে পারলাম, এটাই আমার বড় পাওয়া।
অবমুক্ত হওয়া প্রথম হাইব্রিড আমের রঙিন জাত বারি আম ১৩ সম্প্রসারণের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত জানান, জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নতুন জাতটি মুক্তায়িত হওয়ার চিঠি প্রাপ্তির পরই থেকেই, আমরা বারী আম ১৩ এর চারা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি আগামী বছর থেকে মাঠ পার্যায়ে নতুন এ জাতটি সম্প্রসারণে চারা বিতরণ শুরু করতে পারব।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই খোলা কাগজের শেষ পাতায়, হাইব্রিড আমের রঙিন জাতটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।