ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দাসবাণিজ্য নিপাত যাক

হাবিবুর রহমান মুন্না
🕐 ১০:১২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০

দাসবাণিজ্য সম্পর্কে জানার পূর্বে দাসত্ব নিয়ে ধারণা থাকা উচিত। মানুষকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করাই দাসত্ব। যে ব্যবস্থাপনায় দাস-দাসীদের কেনাবেচা হয় তাকে দাসবাণিজ্য বলে। দাসবাণিজ্য একটি পুরনো প্রথা। সাধারণত প্রাচীন ও মধ্যযুগে দাসবাণিজ্যের অত্যধিক প্রকোপ ছিল। সভ্যতার কালক্রমে দাসবাণিজ্য লোপ পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু দাসত্বের রূপান্তর ঘটছে। বিশ্বে তিন ধরনের দাসত্ব লক্ষণীয়Ñ পুরুষ, নারী ও শিশু দাসত্ব। মনিবের হুকুম পালনের ভিত্তিতে শ্রম ও পারিশ্রমিক পৃথক।

পূর্বে পুরুষ দাসরা কৃষি ও গৃহস্থালির কাজ করত, নারীদের দিয়ে যৌন লিপ্সা মেটানো আর শিশুদের দিয়ে করানো হত ব্যবসা-বাণিজ্যে মালামাল বহনের কাজ। দাসবাণিজ্য নিয়ে ইতোমধ্যে বহু আন্দোলন ও বিক্ষোভ হলেও বিশ্বে দাসত্বের কলঙ্ক এখনও বিদ্যমান। দাসবাণিজ্যের বিরোধিতা করে হাইতিতে ১৭৯১ সালে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধে দাস প্রথার বিরুদ্ধে আব্রাহাম লিংকনের জয়ে দাসপ্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করা হলেও দাসত্ব ভিন্নরূপে রূপান্তরিত হয়েছে। দাসত্বের কারণ হিসেবে মূলত বিবেচনা করা যায় দরিদ্রতাকে। বৃহৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠী ঋণের দায়মুক্ত হতে অবশেষে উচ্চবিত্তের মুঠোয় জিম্মি হয়ে স্বল্পোপার্জনে শ্রম দিতে বাধ্য হয়। শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও দাসত্বের পরিচয় মেলে। একটি পরিবারে নারীদের ‘গৃহিণী’ উদ্ধৃতিমূলক কূপে বন্দি রেখে, স্বামীর দাসত্ব করতে বলা হয়। বাসা-বাড়িতে কাজের মেয়েটিকে নামমাত্র মজুরি দিয়ে উদয়-অস্ত পরিশ্রম করিয়ে নেওয়াও দাসত্বের মধ্যেই পড়ে। পারিবারিক ঋণের ভারে বিপন্ন পিতা-মাতারা সন্তানদের কাজে পাঠান; এই সুযোগে স্বল্প অর্থে নিদারুণ পরিশ্রম করিয়ে নেন বিত্তবানরা। আধুনিক সভ্যতার ভবিষ্যতে দাসপ্রথার বিলোপ চাইলে মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর দিকে নজর দিতে হবে, শিশু শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে হবে।
হাবিবুর রহমান মুন্না
শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর
[email protected]

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper