ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয়পত্র

এইচএসসি ২০২০

জুলহাস প্রামাণিক
🕐 ২:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২০

সরকার গঠনের পদ্ধতি ও সরকারের ক্ষমতার বিভিন্ন দিক, জনগণের সাথে সরকারের সম্পর্ক, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রকৃতি ও পরিধি সংবিধানে নির্ধারিত থাকে। প্রকৃতপক্ষে সংবিধান হল কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিধান, যে বিধানের দ্বারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ ও অংশের মধ্যে সংযুক্তি ঘটে। রাষ্ট্রের প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য এবং সমগ্র জাতির জীবন পদ্ধতি সংবিধানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে

সংবিধান
সংবিধান হল রাষ্ট্রের দর্পণ। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য লিখিত ও অলিখিত নিয়মাবলির সমষ্টিকে সংবিধান বলে।
সরকার গঠনের পদ্ধতি ও সরকারের ক্ষমতার বিভিন্ন দিক, জনগণের সাথে সরকারের সম্পর্ক, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রকৃতি ও পরিধি সংবিধানে নির্ধারিত থাকে। প্রকৃতপক্ষে সংবিধান হল কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিধান, যে বিধানের দ্বারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ ও অংশের মধ্যে সংযুক্তি ঘটে। রাষ্ট্রের প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য এবং সমগ্র জাতির জীবন পদ্ধতি সংবিধানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সংবিধানের সংজ্ঞা
এরিস্টটল বলেন, ‘সংবিধান হল রাষ্ট্র কর্তৃক পছন্দকৃত জীবন প্রণালী।’
কে সি হুইয়ার বলেন, ‘কোন উদ্দেশ্যে এবং কোন কোন বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চর্চা করা হবে সেগুলো যে দলিল বা বিধিমালা নির্ধারণ করে তাই সংবিধান।’
লর্ড ব্রাইস বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনার জন্য আইন ও রীতিনীতির সমষ্টিকেই সংবিধান বলে।’
সি. এফ. স্ট্রং বলেন, ‘সংবিধান হল কতগুলো নিয়মের সমষ্টি যা দ্বারা শাসকের ক্ষমতা, শাসিতের অধিকার এবং উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের সামঞ্জস্য বিধান করে।’
ডাইসি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে সকল বিধিবিধান রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার বণ্টন অথবা প্রয়োগের রীতি-নীতিকে প্রভাবিত করে তাই সংবিধান।’
গিলক্রাইস্ট বলেন, ‘সংবিধান হল কতগুলো লিখিত বা অলিখিত নিয়মের সমষ্টি যা দ্বারা সরকার গঠিত হয়, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয় এবং ঐসব বিভাগের কাজের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা হয়।’
সুতরাং সংবিধান হল সরকার ও তার বিভিন্ন বিভাগের সংগঠন, ক্ষমতা বণ্টন এবং শাসক ও শাসিতের অধিকার ও কর্তব্য সংক্রান্ত কতগুলো মৌলিক নীতির সমষ্টি। সংবিধানবিহীন রাষ্ট্রের কথা কল্পনা করা যায় না।
সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ
১। লিপিবদ্ধকরণের প্রকৃতি ও পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সংবিধানকে দুভাগে ভাগ করা হয়।
যেমন- (১)
লিখিত সংবিধান ও (২) অলিখিত সংবিধান।
২। সংশোধন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে সংবিধানকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
যেমন- (১) সুপরিবর্তনীয়
সংবিধান ও (২) দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান।

লিখিত সংবিধান : কোন রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনার মৌলিক নিয়ম-কানুনগুলো যখন এক বা একাধিক দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে তখন
তাকে লিখিত সংবিধান বলে। যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান প্রভৃতি দেশের সংবিধান লিখিত।

অলিখিত সংবিধান : কোন রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনার মৌলিক নিয়ম-কানুনগুলো অধিকাংশই যখন কোন দলিলে লিখিত আকারে
লিপিবদ্ধ থাকে না তখন তাকে অলিখিত সংবিধান বলে। অলিখিত সংবিধান মূলত প্রথা, বিচারকের রায়, আচারব্যবহার ও রীতি-নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এরূপ সংবিধান তৈরি হয় না, গড়ে ওঠে। এ সংবিধানের কিছু কিছু ধারা বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। যেমন- ব্রিটিশ সংবিধান। ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে অলিখিত সংবিধান গড়ে ওঠে। কোন সংবিধান পরিষদ কর্তৃক অলিখিত সংবিধানকে আনষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় না। সুতরাং অলিখিত সংবিধান হল যার অধিকাংশই অলিখিত আর অল্প অংশ লিখিত। যেমনÑ যুক্তরাজ্যের সংবিধান।

জুলহাস প্রামাণিক
সহকারী অধ্যাপক
একেএম রহমত উল্লাহ কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper