ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নির্দয় ভাঙনে বিলীনের পথে দয়াময়ী মন্দির

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী
🕐 ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২০

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মের স্থাপত্য অন্যতম নিদর্শন দয়াময়ী মন্দির। ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি প্রত্মতাত্ত্বিক অধিদফতরের তালিকায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে ঠাঁই পেলেও এটি রক্ষণাবেক্ষণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে মন্দিরটি। সুতাবাড়িয়া নদীর তীরে স্থাপিত প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো মোগল আমলে স্থাপিত এ দয়াময়ী মন্দিরটি। যা আজও স্মরণ করিয়ে দেয় হিন্দুদের স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের কথা। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্মৃতিবিজড়িত প্রত্মতাত্ত্বের নিদর্শন বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কাছে জোর দাবি স্থানীয়দের।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত এ মন্দির। সুতাবাড়িয়া গ্রামের নামেই নদীর নাম। এটিই পটুয়াখালী জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা। মন্দিরটি নিয়ে রয়েছে নানা রূপকথার কল্প কাহিনী।

এলাকাবাসী জানান, উপমহাদেশের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বার্মাসহ বহু দেশ থেকে পুণ্যার্থীর মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণ অর্জনের জন্য আসেন। পূজোর সময় লাখ লাখ ভক্ত সমবেত হন।

মন্দিরের প্রবেশপথে ছিল উঁচু সিংহ দরজা এবং মন্দিরের পাশাপাশি ছিল সুউচ্চ চূড়ার শিব মন্দির। বাড়িটি ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। সিংহ দরজাকেও করেছে গ্রাস। নদীগর্ভে বাকি স্থাপনাটুকুও চলে গেলে বিলীন হয়ে যাবে ৫০০ বছরের পুরনো ঐহিত্য-ইতিহাস। তাই দক্ষিণাঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মন্দিরটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে এবং সংস্কারে প্রত্মতাত্ত্বিক বিভাগ এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসন রিয়াদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পটুয়াখালী এ ব্যাপারে বলেন, সুতাবাড়িয়ার ঐহিত্যবাহী মন্দিরটি রক্ষায় কী করা যায়, এ ব্যাপারে তারা সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

 
Electronic Paper