বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন
ড. এম. আফজাল হোসেন
🕐 ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২০
বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী ও বিপথগামী একদল সেনা সদস্য। পেছনে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশ ও বাঙালির গভীর মর্মস্পর্শী শোকের দিন, জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এসে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে এবং ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচার কার্য শুরু হয়। দীর্ঘ সময় পরে হলেও বাঙালি জাতি সেই কলঙ্কমুক্ত হয়। শতাব্দীর মহানায়ক বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে কলঙ্কমুক্ত বাঙালি জাতি আজ মুজিব বর্ষের ১৫ আগস্ট গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।
দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাঙালি যখন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি তখন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শতাব্দীর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লোকে লোকারণ্য রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১৭ মিনিট বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশ্যে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন। তিনি দেশ গড়ার সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন আর উপস্থিত মন্ত্রমুগ্ধ জনতা দু’হাত তুলে সেই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে প্রত্যাবর্তন, স্বপ্ল সময়ের মধ্যে দেশের সংবিধান রচনা, জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ, সর্বস্তরে দুর্নীতি নির্মূল, কৃষি বিপ্লব, কলকারখানাকে রাষ্ট্রীয়করণসহ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত কৃষি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু বহুগুণে গুণাম্বিত একজন মানুষ ছিলেন। কৃষি ও কৃষকের প্রতি ছিল তার বিশেষ দরদ ও আন্তরিকতা। তিনি মনে করেন কৃষকের উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন সময়ের ব্যাপার। তিনি জানতেন কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। এ কারণেই স্বাধীনতার পর ডাক দিয়েছিলেন সবুজ বিপ্লবের। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সোনালি ফসলে ভরপুর দেখতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই কৃষি উন্নয়নে কৃষকের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ পূর্বের সমস্ত বকেয়া খাজনা মওকুফ করা, একটি পরিবারে সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করা, বাইশ লাখের অধিক কৃষক পরিবার পুনর্বাসন করেছিলেন। তিনি কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো ও কার্যক্রমের আমূল পরিবর্তন ও সংস্কারের মাধ্যমে এবং প্রযুক্তিচর্চায় মেধা আকর্ষণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও আনুষঙ্গিক উপকরণ, কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ সুবিধা সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। তিনি আধুনিক ও উন্নত কৃষির প্রয়াসে কৃষি শিক্ষায় মেধাবীদের চাকরিতে আকৃষ্ট করে উন্নত ও টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করেন। তার এসকল যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের অগ্রযাত্রা সূচিত করেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আজ ১৫ আগস্ট উদ্যাপনে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক অজানা শক্র- করেনাভাইরাস আতঙ্ক। ২০১৯ সনের ডিসেম্বরে মধ্য চীনের উহান শহর থেকে সৃষ্ট করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় মার্চ মাসের প্রথমার্থে। এটি বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও জ্যামিতিক হারে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সংঘটিত সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক ও মানবিক সংকট হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এমন বিপর্যয় উত্তরাধুনিক সভ্যতার প্রতিটি মানুষের কাছে ছিল অকল্পনীয়। মনে হচ্ছে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার নতুন আর এক যুদ্ধ। বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীরা এখনো এ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি। ফলে মানুষ তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড নিঃসংকোচে করতে পারছে না। সর্বদাই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
যার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হেনেছে। ভাইরাসের বিশাল প্রভাব পড়েছে কৃষি এবং কৃষিব্যবস্থাপনার ওপরও। করোনার সংক্রমণের প্রভাবে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এমনকি রাজনৈতিক প্রভাব যে দীর্ঘমেয়াদি হবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। এ পরিস্থিতিতে কৃষির উৎপাদন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এখনো বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস হচ্ছে কৃষি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির উৎপাদন, উন্নয়ন ও সফল বিপণনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চেয়েছিলেন। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার মূল ভিত্তি হিসেবে কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মনে রাখতে হবে, কৃষি আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক স্থবিরতা এসে গেছে। দুর্ভিক্ষও দেখা দিতে পারে। এই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য নিজের দেশকেও যেমন বাঁচাতে হবে, পাশাপাশি অন্যান্য দেশকেও সাহায্য করতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ সাহায্য চেয়েছে এবং আমরা তাদের জন্য খাদ্যশস্যও পাঠিয়েছি। সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’
প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখিত বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এবং অনাবাদি জমি চাষাবাদের উপযোগী করে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অক্ষুণ রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত এবং বৃদ্ধি করতে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষির যান্ত্রিকীকরণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণনে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই বোরো ধান কাটার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাওর অঞ্চলের ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন ১৮০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭টি রিপার সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে আগাম বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই খুবই অল্প সময়ের মধ্যে হাওরের কৃষকরা সময়মতো সুষ্ঠুভাবে ধান ঘরে তুলতে পেরেছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে একদিকে কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফসল যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পেরেছে অপরদিকে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। ভাইরাসের প্রভাব এড়াতে বর্তমান সরকার কৃষকদের প্রণোদনা প্রদানসহ সার, বীজ, কীটনাশক প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
করোনা পরিস্থিতি এবং পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতকরণে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন তা বর্তমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পরিবর্তিত পরিবেশে কৃষির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কৃষি মন্ত্রণালয় তথা সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নিশ্চিতকরণে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষির ভূমিকা অনস্বীকার্য সেহেতু দেশের করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে কৃষির টেকসই উন্নয়নের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু সবুজ বিপ্লবের উদ্দেশ্য অনুযায়ী দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, কৃষির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলেই টেকসই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব। এজন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি, গোষ্ঠী, বেসরকারি খাত এবং উন্নয়নশীল প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। করোনা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপণন ব্যবস্থাপনা যথাযথ চালু রাখতে হবে। কৃষকের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশের কৃষিতে ধারাবাহিক ভালো ফলনের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত খাদ্য সংকটের আশঙ্কা আছে বলে মনে হয় না। করোনার এই পরিস্থিতিতে সেই ধারাবাহিকতা যে বিঘিœত হবে না তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তাই উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা এবং কৃষকদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সামাজিকভাবে ঐক্য ও দায়িত্ব নিতে হবে। কৃষির উন্নয়নে এবং দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এদেশের যোগ্য কৃষিবিদগণ যথেষ্ট অবদান রেখেছেন এবং রাখছেন। আধুনিক বিশ্বের বিশাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে কৃষিবিদগণ কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করেছেন। আধুনিক বিশ্বে স্মার্ট এগ্রিকালচারের মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ন্যানো প্রযুক্তি থেকে তৈরিকৃত সার ফসল উৎপাদনের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি করতে পারে। তরুণ প্রজন্মকে কৃষির এই আধুনিকায়ণের মাধ্যমেই কৃষি পেশাকে আরও আকৃষ্ট করতে হবে। এসময়ে কৃষিকাজে কৃষকের মনোবল সুদৃঢ় রাখার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষিবিদদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা খুবই জরুরি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই আমাদের ফসল উৎপাদনের স্বাভাবিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষকরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় জাতির জনকের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই হোক জাতীয় শোক দিবসের অঙ্গীকার।
ড. এম. আফজাল হোসেন : ইমিরেটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপচার্য, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর