শিপ্রার জামিন, আজ সিফাতের শুনানি
নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার
🕐 ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার আরেক সঙ্গী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদনের শুনানি আজ সোমবার নির্ধারণ করা হয়েছে।
রামু থানায় করা মামলায় গতকাল রোববার শিপ্রার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১-এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামু কোর্টের বিচারক দেলোয়ার হােসেন এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। শিপ্রার আইনজীবী অরুপ বড়–য়া তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত শিপ্রার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। শিপ্রা দেবনাথের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা এলাকায়। তিনি ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। সে সুবাদে তিনি মা-বাবাকে নিয়ে ঢাকার রামপুরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
অন্যদিকে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের আরেক সহযোগী রিফাতুল ইসলাম সিফাতের জামিন আদেশের দিন ধার্য করেছেন আজ সোমবার। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (টেকনাফ-৩) ভারপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। সিফাতের আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু জানান, পুলিশের দায়ের করা হত্যা ও মাদকের দুটি মামলা করা হয়। দুটি মামলায় সিফাতের জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জামিনের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান সিনহা। ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছরা ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। পাশাপাশি র্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।