ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মেজর সিনহা হত্যা

পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীই ভুয়া

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া
🕐 ১০:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০২০

স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর প্রথম মামলাটি করে পুলিশই। সেখানে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয় ঘটনাস্থল টেকনাফের বাহারছড়ার তিন জনকে। অথচ ওই সাক্ষীরা মূল ঘটনাই জানে না।

জানা গেছে, সিনহার নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছিল সেখানে সাক্ষী করা হয়েছে তিন ব্যক্তিকে। তারা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া মারিশবুনিয়া এলাকার নাজির উদ্দিন প্রকাশ রাজুর পুত্র নুরুল আমিন (২২), আব্দুল গফুরের পুত্র হামিদ হোসেন (২৪) এবং জালাল আহম্মদের পুত্র মো. আইয়াছ উদ্দিন (৪০)।

প্রথম সাক্ষী নুরুল আমিন বলেন, সাবেক সেনা সদস্য সিনহার মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি আমি চোখেও দেখিনি এবং কানেও শুনিনি। আমার সঙ্গে পুলিশের লোকজন আলাপ না করে সাদা কাগজে সই নিয়েছে। স্বাক্ষর নেওয়ার সময় খোদ উপস্থিত ছিলেন ওসি প্রদীপ, লিয়াকতসহ অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা।

পুলিশের মামলার তৃতীয় সাক্ষী মো. আইয়াছ উদ্দিন বলেন, ওইদিনের ঘটনার পর আমাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশের একটি টিম। সেখানে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলার আগে ১০-১২টি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এখন শুনছি আমি নাকি নিহত সিনহার পুলিশের দায়ের করা মামলায় সাক্ষী হয়েছি। অথচ আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া পুলিশ সদস্যদের দেখলে চিনতে পারব।

নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের পরিবার ও তাদের স্বজন শুরুতে দাবি করে আসছিলেন, কক্সবাজার হিমছড়ি নিলীমার রিসোর্টের ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে সেখানে গিয়েছিলেন মেজর সিনহা ও তার সঙ্গীরা। এদিকে সিনহার পরিবার ও তার স্বজনদের মূল ঘটনার বর্ণনার সঙ্গে হুবহু মিলে যায় হিমছড়ি নিলীমার রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্যে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলার পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।

 
Electronic Paper