ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক ঘাটেতে রানধি-বারি আরেক ঘাটে খাই

রংপুর অফিস
🕐 ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০২০

হ্যাঁ, এটাই বেদে সম্প্রদায়ের জীবনচিত্র। বাংলা সিনেমার ধারায় আমরা কিছুটা উপলব্ধি করতে পারি তাদের জীবন। তারপরও সিনেমা আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক থেকেই যায়। অসহায় এই মানুষগুলোর ঘরে খাবার না থাকলেও মুখে হাসি আর পারস্পরিক বন্ধনই যেন তাদের বড় সম্পদ। বেদেরা একেকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় তাঁবু গেড়ে বসবাস করে যাদের আমরা যাযাবর বলে থাকি।

পথে ঘাটে সাপের খেলা দেখিয়ে, বিভিন্ন তাবিজ-ওষুধ বিক্রি করে জীবন চালায় তারা। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় এই মানুষগুলোর সেই আয় পুরোপুরি বন্ধ প্রায়। 

ফলে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে এই বেদে সম্প্রদায়ের মানুষগুলো। তারই একটি অংশ স্থান নিয়েছেন রংপুরের নিশবেতগঞ্জ এলাকায় ঘাঘট নদীর তীরে।

রংপুরের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ তাদের সাংগঠনিক কাজে সেদিকে গেলে তাদের এই দুরবস্থা দেখে ব্যথিত হন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা এই সৈনিকরা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের জন্য কিছু সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা। তাদের এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন জার্মান প্রবাসী সৈয়দ শাকিল।

অবশেষে এই মানুষগুলোর মাঝে সাহায্য নিয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয় ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’। গতকাল এই বেদে পল্লীর ৩২টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষের জন্য আনুমানিক ১০ দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহতাসিম আবশাদ জিসান বলেন, আমরা ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে আজ পর্যন্ত যত কাজ করেছি তার একটাই লক্ষ্য ছিল- অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাই এই অসহায় বেদে সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা সকলে শিক্ষার্থী।

তাই সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন, সেই সঙ্গে দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে এই কাজগুলো করতে পারি। অসহায় এই মানুষগুলো এই সমাজেরই অংশ। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

 
Electronic Paper