ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর

হোক ঈদুল আজহা
🕐 ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০

বাঙালি জীবনে এমন ঈদ আর আসেনি। পুরো বিশ^ই জেরবার করোনাভাইরাসের তা-বে। বাংলাদেশ করোনার পাশাপাশি মোকাবেলা করছে বন্যা পরিস্থিতিও। সব মিলিয়ে পার করছে কঠিন সময়। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাট। যারা এখনো পশু কেনেননি তারাও কিনে ফেলবেন কম সময়ের মধ্যে। তবে এই মহামারিতে আগের মতো দেশের সব জায়গায় বসেনি হাট। তবে করোনার বিস্তার ঠেকাতে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট জায়গায় বসেছে পশুর হাট। কিন্তু হাটগুলোতে দেখা মিলছে না ক্রেতাদের। করোনাকালে সৃষ্ট আর্থিক সংকটে পড়া মানুষ এবার হাটের খোঁজও নিচ্ছে না। মন্দা বাজারে ভ্যাপসা গরম আর দুশ্চিন্তায় রীতিমতো ঘামছেন ব্যাপারীরা। বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে আসা এসব ব্যাপারীর অনেকেরই গরু নিয়ে ফেরার জায়গাটুকুও নেই। আর এই সময়ে পশুর হাটগুলো মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত রোববার রাজধানীর ধুপখোলা হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্তত ৪০ জন ব্যাপারী ও খামারি পাঁচ শতাধিক পশু এনেছেন। তাদের চোখে-মুখে শঙ্কা। ধূপখোলা হাটের ইজারাদার হাসান আসকারি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে অনেক ব্যাপারী তাকে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) শর্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে বেচাকেনা শুরু হয়। কুষ্টিয়ার গরুর ব্যাপারী ইকরামুল হক মাঝারি ও বড় আকারের ১৪টি গরু এনেছেন পুরান ঢাকার ধূপখোলা হাটে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, এবার বড় ১১টি ও ছোট ৩টি গরু এনেছি। কিন্তু করোনায় পশুর হাটে বেচাকেনা জমবে কিনা, সেই উদ্বেগে আছি। এ পরিস্থিতিতে লাভ না হোক, অন্তত চালান নিয়ে যেন ঘরে ফিরতে পারি- সেই চেষ্টাই করছি।

গোপীবাগ বালুর মাঠ হাটেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু আনছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। এতে হাটের সীমানা গোপীবাগ থেকে কমলাপুর স্টেডিয়াম পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে। তবে কাউকে দরদাম করতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশ মাংস বিক্রেতা সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিবছর গড়ে সাড়ে চার লাখ পশু কোরবানি হত। এবার করোনার কারণে তা কমে সাড়ে তিন লাখের মধ্যে চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবছর রাজনৈতিক নেতা এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা বেশিসংখ্যক গরু কোরবানি দিতেন। এবার করোনার কারণে তাদের অনেকেরই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।

করোনার এই সময় পশুর হাট মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণে পশুর হাট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এবার রাজধানীতে পশুর হাট ইজারা না দিতে সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি কমিটি। একই বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্দেশনা মানেনি। কোরবানির দীক্ষা ও শিক্ষা এই সময়ে আরও বেশি মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হোক পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ মোবারক!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper