খাল পুনঃখননের সুফল মিলছে
আব্দুল্লাহীল বাকী বাবলু, পীরগঞ্জ (রংপুর)
🕐 ২:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২০
এক সময় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল বিলের দুই হাজার ২০০ হেক্টর আয়তনের বেশিরভাগ অংশ জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি পড়ে থাকতো। এতে স্থানীয় কৃষকদের জমি থাকতেও কোনো বর্ষা মৌসুমেই ফসল উঠতো না তাদের ঘরে। বছরে কেবল মাত্র একটি ফসল উৎপাদন সম্ভব হতো বিলের আশেপাশের প্রায় ১০ হাজার কৃষকের। চৈত্রকোল বিলের অবস্থান পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রংপুর বিএডিসি ১০ কিলোমিটার খালটি পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়।
বিএডিসির উদ্যোগে খালটি পুনঃখনন করার ফলে বদলে গেছে সেই বিলের চিত্র ও স্থানীয় কৃষি ব্যবস্থা। এখন বিলের পানি খননকৃত খাল দিয়ে দ্রুত প্রবাহিত হয়ে করতোয়া নদীতে চলে যায়। ফলে বিল সংলগ্ন এলাকার ১৪টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ সুফল পেতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় কৃষক আমন ও বোরো মৌসুমে ভালো ফসল পেয়েছে। এছাড়া সুবিধাভোগীরা পানির প্রবাহ ঠিক রেখে খননকৃত খালে মাছ চাষ শুরু করেছেন।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে আশেপাশের কিছুটা উঁচু জমিতে বোরো চাষ করলেও তারা ধান ঘরে তুলতে পারতেন না। সব সময় বৃষ্টির ভয় থাকত। এবারই প্রথম খননকৃত খালের দুই পাশের অধিকাংশ কৃষক বোরো আবাদ করতে পেরেছেন।
রংপুর বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম মিজানুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য খাল কেটে করতোয়া নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে ফসলে সেচ হিসেবে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার হয়েছে।
বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ) সার্কেলের প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সঞ্চয় সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ স্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর অঞ্চলে ২০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়াও সেচ কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে।