ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যাংকে চাকরি হারানোর আতঙ্ক দূরীকরণে উদ্যোগ নিন

সম্পাদকীয়
🕐 ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

করোনাকালে মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। অনেকেই নানাভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তুলনামূলক নিরাপদ চাকরি মনে করা হয় ব্যাংকিং পেশাকে। সম্প্রতি সেখানেও পড়েছে ‘শনির আছর’। গতকাল খোলা কাগজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবি ব্যাংকে চাকরিচ্যুতির আতঙ্ক এবার ঢাকা ব্যাংকে পেয়ে বসেছে। ব্যাংকটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমাতে নতুন কৌশল নিয়েছে।

ব্যাংকটির শাখায় শাখায় নির্দেশনা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, তারা করোনাকালীন ঘোষিত প্রণোদনা চান না এ বিষয়ে লিখিত দিক। চাকরি বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মেনে এ বিষয়ে লিখিত দেওয়াও শুরু হয়েছে। ব্যাংকটির রাজধানীর একাধিক শাখার কর্মীরা বলেছেন, করোনাভাইরাস অতিমারি শুরু হওয়ার সময় থেকে আমরা আতঙ্কে আছি। কখনো চাকরি থেকে ছাঁটাই করার কথা বলা হয়েছে, কখনো বেতন কমানোর কথা বলা হয়েছে, হাজিরা দেখে ‘লেটকামারদের’ বেতন কাটার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এবার বেতন কাটার এক অভিনব পদ্ধতি কার্যকর করা হচ্ছে। শাখায় শাখায় নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে সব কর্মীর নির্দিষ্ট ড্রাফট লিখে দেবে তারা করোনাকালীন প্রণোদনা নিতে চান না। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কোনো কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কম্যুনিকেশন ও ব্র্যান্ডিং ডিভিশনের প্রধান খন্দকার আনোয়ার এহতেশাম জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, বেতন কমানোর আলোচনা বেশ কিছুদিন আগে হয়েছিল, সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ঢাকা ব্যাংক আর বেতন কমাবে না। বিষয়টি মানবসম্পদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশের শর্তে বলেন, ব্যাংক খরচ কমানোর উদ্যোগ হিসেবে বেতন না কমিয়ে প্রণোদনা না দেওয়ার এ পথ অনুসরণ করছে।

করোনা অতিমারি শুরু হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা হয় ব্যাংক থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের ন্যায় ঢাকা ব্যাংকও করোনাকালীন প্রণোদনা ঘোষণা করে। কিন্তু জুনের শুরুর দিকে করোনা-অভিঘাত মোকাবেলার অংশ হিসেবে বেতন কমানো ও প্রণোদনার কর্তনের উদ্যোগ নেয় বাণিজ্যিক ব্যাংকটি।

ব্যাংকের কর্মীরা সে সময় জানান, বেতন কমানোর পরে সমালোচনা শুরু হলে বেতন কমানোর অবস্থান থেকে সরে এসে প্রণোদনা কর্তনের উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে করোনাকালের জন্য প্রণোদনা কর্তনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিলে হাজিরা সমস্যা দেখিয়ে প্রণোদনা কর্তনের উদ্যোগ নেয়। করোনাকালীন যেসব কর্মকর্তা দেরিতে প্রবেশ করেছে বা পাঞ্চিং সিস্টেমে একবার পাঞ্চিং করেছে তাদের প্রণোদনা কর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার কর্মীর প্রণোদনা কর্তনের জন্য তালিকা করে ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ।

সে সময় ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে ব্যাংকের নির্দেশনা নেই। মানবসম্পদ বিভাগ কীভাবে এটা করছে খতিয়ে দেখব। বিষয়টি পরে আবার খোঁজ নিয়ে জানা যায় লেট বা ত্রুটিপূর্ণ হাজিরা দেখিয়ে প্রণোদনা কর্তনের অবস্থান থেকে সরে আসে ঢাকা ব্যাংক। ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা বলেন, এমনিতে ঢাকা ব্যাংকের বেতন কম, চার বছর ধরে কোনো ইনক্রিমেন্ট নেই। সংশ্লিষ্টদের চাকরি হারানোর ভয় দূরীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper