ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আট জেলায় আবারও বন্যা অবনতির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

প্রথম দফা বন্যার ক্ষত না সারতেই দ্বিতীয় ধাপের এ বন্যায় লাখো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। গেল সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দুর্গতদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে আবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, রাজবাড়ী এ আট জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র এ আভাস দিয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দেশের নদ-নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০১টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৭৮টি পয়েন্টেই পানি বাড়ছিল। এর মধ্যে বিপদসীমার ওপরে বয়ে যাচ্ছিল ২২টি পয়েন্টে। ২০টি পয়েন্টে পানি কমলেও দুটি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।

বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা অববাহিককার নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকবে। সুরমা নদী ছাড়া মেঘনা অববাহিককার নদ-নদীর পানিও আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়তে থাকবে। বহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, ধরলা, তিস্তা, ঘাগট, গুড়, আত্রাই, সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, পুরাতন সুরমা, সমেশ্বরী ও ?মহুরী নদীর ২২টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৮৮ সেন্টিমিটার উপরে বয়ে যাচ্ছে। আরিফুজ্জামান আরও জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, রাজবাড়ি জেলার বন্যা অবনতি হতে পারে।

 
Electronic Paper