ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হবিগঞ্জে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পাহাড়পুরে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ কেয়ারের অর্থায়নে ১৪০০ ফিট বাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে হাওর অঞ্চল খ্যাত পাহাড়পুর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ। সঠিক সময়ে বাঁধের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। এতে গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি বন্যায় তলিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ভাটি অঞ্চলের মুরাদপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে প্রতি বছর বন্যায় বাড়ি ঘর ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ওই অঞ্চলের মানুষদের।

এ থেকে রেহাই পেতে ২০১৮ সালে গ্রামটির পাশে এসে দাঁড়ায় কেয়ার নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি’র মাধমে ওই গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার জন্য দেয়া হয় ৪২ লাখ টাকা। বাঁধটি ২০১৯ এ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার যেনতেন করে তরিৎ গতিতে বাঁধের কাজ শেষ করেন। 

এলাকাবাসী অভিযোগ, ১৪০০ ফিট দৈর্ঘ আর ৮ ফুট উচ্চতা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে মাত্র ৯০০ ফিট দৈর্ঘ আর ৬ ফুট উচ্চতা। দুটি ঘাটলার পরিবর্তে দেয়া হয়েছে একটি ঘাটলা। এছাড়াও করেছেন নকশা পরিবর্তন। ঠিকাদার মিদুল রায় বাঁধটি নির্মাণে অনিয়ম করেছেন বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

নিম্ন মানের ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে বাধের কাজ করা হয়েছে বলে জানান অনেকে। বার বার প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দেয়ার পরও আমলে নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। এতে বন্যায় বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।

অভিযোগকারী আহমদ হোসেন জানান, বাঁধ নির্মাণের সময় গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাটসহ নানা কাজ করা হয়। অনিয়মের প্রতিবাদ করার পরও কোন কাজ হয়নি। যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে এই প্রতিরক্ষা বাধ। বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী আল-নুর তারেক জানান, গ্রামবাসীর বাধার মুখে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী।

পুনরায় গ্রামবাসী মুচলেকা দিলে আবারও কাজ করা সম্ভব বলে জানান এই কর্মকর্তা। ইউএনও মাসুদ রানা বলেন, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। অনিয়মের সত্যতা পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। বর্তমানে অনিয়মের মাধ্যমে বাধের কাজ সম্পন্ন হলেও আশঙ্কায় দিন কাটছে এখানকার মানুষের।

 

 

 
Electronic Paper