ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উখিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে পাহাড়, নিস্ক্রিয় বন বিভাগ

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

কক্সবাজারের উখিয়ার সর্বত্র সরকারি মালিকানাধীন বনভূমি একের পর এক বেহাত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বন বিভাগ সেই কথিত জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে পার পেয়ে নগদ হাতিয়ে পাহাড়খেকো ও ভূমিদস্যুদের দখলের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় কেটে মাটি পাচার, বন ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ঘটিয়ে ঘরবাড়িসহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, জবরদখল সমানে চললেও যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।

বিশেষ করে ২০১৭ সালে ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা আগমন ও আশ্রয়ের সুযোগে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা অধিকহারে সরকারি মালিকানাধীন বনভূমি জবরদখলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। কারো বসতভিটা, দোকান পাঠ বা সরকারি বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণসহ সবধরনের কাজে মাটি ভরাট ও অনান্য কাজে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে বন বিভাগের পাহাড়ী মাটি।

সরকারি পাহাড়ী মাটি কাটা, পরিবহন, পাচার, বিক্রিতে এলাকা ভিত্তিক একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এসব সিন্ডিকেটের লোকজন সংশ্লিষ্টদের অনৈতিক ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি বনভূমি জবরদখলকারী সিন্ডিকেটগুলো অধিকতর বেপরোয়া ভাবে কাউকে কোন ধরনের তোয়াক্কাই করছে না। এমনকি সরকারি বনভূমি সংলগ্ন স্থানীয় লোকজনের মালিকানাধীন জায়গা জমিও এসব ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রেহায় মিলছে না।

উখিয়ার ইনানী বনরেঞ্জ কর্মকর্তাকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে।

কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না, বরং জবরদখলকারীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উপরন্তু পাহাড় কাটার মাটি বর্ষার বৃষ্টিতে ধুয়ে আমাদের ফসলী জমিতে পড়ে আবাদী জমি নষ্ট হয়ে পড়ছে।

উখিয়া ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী তুতুরবিলের অভিযুক্ত অবৈধভাবে জবর দখলকৃত বনভূমি উচ্ছেদ করে বেআইনি স্থাপনা ভেঙে দিতে সহকারী কমিশনারকে জানানো হয়েছে। উখিয়া সহকারী কমিশনার আমিমুল এহসান খান বলেন, গত বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওখানে বর্ণিত সরকারি পাহাড় প্রায় পুরোটাই কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে পাকাবাড়ি।

 

 
Electronic Paper