ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বিজ্ঞপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর কোনো দেশ থেকে কোনো হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন না বলে ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ গমনেচ্ছু নিবন্ধিত ও প্রাক-নিবন্ধিতদের জন্য জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের হজ অনু বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণে সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য প্রাক-নিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তিদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় নি¤েœাক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

১. ২০২০ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য যাদের প্রাক-নিবন্ধনের মেয়াদ বৈধ ছিল তা ২০২১ সালের জন্য বলবৎ থাকবে।

২. সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার যেসব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি ২০২০ সালের হজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন তাদের নিবন্ধন ২০২১ সালের জন্য বৈধ থাকবে। নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমাকৃত টাকা ২০২১ সালের প্যাকেজ মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

৩. ২০২০ সালের হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল বিষয়ে ই-হজ সিস্টেমের ওপর সকল ব্যাংকের প্রতিনিধি, নিবন্ধন কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সির প্রতিনিধিদের ১৩ জুলাই থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পবিত্র হজ পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল করতে চাইলে হজ পোর্টালে িি.িযধভষ.মড়া.নফ বা যঃঃঢ়ং</ঢ়ৎঢ়-ঢ়রষমৎরসনফ.ড়ৎম/যধলৎধভঁহফ লিংকে নিজে বা নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবেন।

৪. আবেদন অনুমোদিত হলে তার অনুকূলে নিবন্ধন বাতিল ভাউচার তৈরি হবে এবং ২০২০ সালের নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন উভয়ে বাতিল হবে। ভবিষ্যতে হজে যেতে চাইলে নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন এবং নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন বাতিলকারী ব্যক্তিকে কোনো প্রকার কর্তন ব্যতীত তার প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।

৫. সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ নিবন্ধন বাতিলকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত সমুদয় অর্থ অনলাইনে সরাসরি হজযাত্রীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। কোনো হজযাত্রীর ব্যাংক হিসাব না থাকলে আর ইচ্ছানুযায়ী পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। এ জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নিবন্ধন বাতিল ভাউচার ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

৬. বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত সমুদয় অর্থ হজযাত্রীর অনুযায়ী সরাসরি নিবন্ধনকারী ব্যাংক থেকে অনলাইনে হজযাত্রীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর অথবা এজেন্সির মাধ্যমে প্রদান করা হবে। একেক নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত অর্থ পূর্বের ন্যায় পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা থেকে হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি তাকে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ফেরত প্রদান করা হবে।

৭. নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের সময় জমাকৃত অর্থ, কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশে ব্যয় করা হবে না এবং সৌদি আরবেও প্রেরণ করা যাবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। ২০২০ সালে নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমাকৃত টাকা ২০২১ সালের প্যাকেজ মূল্য সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

৮. ২০২০ সালে নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমাকৃত টাকা যেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো এজেন্সি তুলতে না পারে সে ব্যাপারে হজযাত্রী নিবন্ধনকারী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। ব্যাংক কর্মকর্তারা হজ নিবন্ধন বাতিলকারীর অর্থছাড় করার পূর্বে যাত্রীদের পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভাউডারের নিশ্চিত করে নেবেন।

 
Electronic Paper