বগুড়ায় প্রস্তুত ৪ লাখ কোরবানির পশু
হাটে ৩৮ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
তোফাজ্জল হোসেন, বগুড়া
🕐 ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০
বগুড়ায় এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এবার চাহিদা ৩ লাখ ২৫ হাজার গবাদি পশু। সেখানে মোটাতাজাকরণসহ মোট ৩ লাখ ৭৬ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করেছেন খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ের লোকজন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থায়ী হাট ও খামারিদের কাছ থেকে কোরবানির গবাদি পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে এখনো হাট বসানো হয়নি।
অন্যদিকে এ বছরও কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ৩৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার। জানা গেছে, গবাদি পশু পালনে উপযোগী এলাকা বগুড়া। এজন্য এ জেলায় কোরবানির পশুর ঘাটতি হয় না। গত বছরের মতো এ বছরও কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু বেশি প্রস্তুত করেছেন খামারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ের লোকজন। ২০১৯ সালের কোরবানির ঈদে বগুড়ায় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা ছিল। এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার গবাদি পশু। সেখানে ৩ লাখ ৭৬ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। ৩ লাখ ৭৬ হাজার গবাদি পশুর মধ্যে প্রায় আড়াই লাখই গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম হাট সংলগ জাহাঙ্গীর এগ্রো খামারের মালিক খোরশেদ আলম চঞ্চল জানান, এ বছর তার খামারে ২৫টি কোরবানিযোগ্য ষাঁড় প্রস্তুত করা হয়। ইতোমধ্যে ১৩টি ষাঁড় বিক্রি হয়ে গেছে। এবার তার খামারে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা মূল্যের গরুও প্রস্তুত করেছেন তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ বছর বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ৪০ হাজার খামারি কোরবানিযোগ্য পশু পালন করছেন। জানুয়ারি মাস থেকে মূলত কোরবানির জন্য গবাদি পশু কিনে মোটাতাজাকরণের জন্য প্রস্তুতি নেন খামারিরা। এজন্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে মোটাতাজাকরণ পশুর দেহে ক্ষতিকর রাসায়নিকদ্রব্য ব্যবহার প্রতিরোধে খামারিদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সুস্থ ও সবল পশু পালনের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এ বছরও খামারিদের প্রশিক্ষণ ছাড়াও পেশাদার মাংস ব্যবসায়ীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে এ বছর প্রাণিসম্পদ বিভাগের ৩৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার, একজন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও একজন ফিল্ড অফিসার/এলএসপির সমন্বয়ে তিন সদস্যের ওই মেডিকেল টিম হাটগুলোতে অসুস্থ গবাদি পশু চিহ্নিত করা, চিকিৎসা প্রদান, পশুর দেহে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে কি-না, সেসব নজরদারি করার কাজ করবে।