ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঐতিহ্য ধরে রাখতে ঘুড়ি বানান শাজাহান

খন্দকার শাহিন, নরসিংদী
🕐 ১০:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

বর্ষা মৌসুমে আষাঢ়ের ঢলে খাল-বিল পানিতে থই থই। এ সময়ে কোনো কাজ না থাকায় বাংলার পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে সখের ঘুড়ি বানিয়ে সময় কাটান শাজাহান আমিন (৬৬)। তিনি পেশায় সার্ভেয়ার-আমিন, জমি মাপামাপির কাজ করেন। নরসিংদী সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী পূর্বপাড়া (মুন্সিবাড়ি) গ্রামের মৃত. মোজাফ্ফর আমিনের ছেলে ও পঞ্চায়েত প্রধান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত মোহর আলী মুন্সির নাতি তিনি।

সরেজমিন দেখা যায়, করোনা মহামারিতে প্রত্যন্ত গ্রামের লোকজন প্রতিদিন বিকালে একটু হলেও আনন্দে পার করছেন। অনেকে এ বর্ষায় মাছ শিকার করছেন, কেউ কেউ আবার ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। এ সময়ে কোনো কাজ না থাকায় গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে ঘুড়ি বানিয়ে দিন কাটান শাজাহান আমিন।

খোলা কাগজকে তিনি জানান, নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে শিশু-কিশোরদের নিয়ে ওড়ানোর জন্য চারকোনা আকৃতির বাংলা ঘুড়ি, বঙ, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, বাজপাখি, ফুল, চরকি লেজ, তারাসহ বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বানান তিনি। এসব ঘুড়িতে বেশ পাতলা কাগজ ব্যবহার করা হয়, যাতে ঘুড়িগুলো হালকা ও বাতাসে ভাসার উপযোগী হয়। মনোরঞ্জন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঘুড়িগুলোতে সাদা কাগজের পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রঙিন কাগজ ব্যবহার ও রাতে ওড়ানোর জন্য আলোকসজ্জায় সাজানো হয়।

পাতলা কাগজের সঙ্গের চিকন কঞ্চি লাগিয়ে সাধারণত এসব ঘুড়ি তৈরি করা হয়। বিশ্বজড়েই ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। আমাদের দেশেও অনেক স্থানে ঘড়ি ওড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আসছে পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে শাহজান আমিনের।

 

 

 
Electronic Paper