ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অতি বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে ঠাকুরগাঁওয়ের আম

হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও
🕐 ১০:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৯, ২০২০

এবার ঠাকুরগাঁওয়ে আমের ফলন ভালো হলেও ভরা মৌসুমে ফলন ওঠার আগেই অতিবর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমের কাক্সিক্ষত দাম নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন জেলার আম চাষিরা।

টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাগানের পরিচর্যা করতে পারেননি আম চাষিরা। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে বিবর্ণ হয়ে গেছে বাগানের অধিকাংশ আম। সেই আম নিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। তাই এবার কম দামে আম বিক্রি করে কাক্সিক্ষত লাভের মুখ দেখছেন না চাষিরা। ভারি বৃষ্টিতে ৫শ’ হেক্টর জমির আম বাগানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তাই আম তুলতে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। 

বাগান মালিকরা বলছেন, অবিরাম বৃষ্টিতে আম বাগানের পরিচর্যা করতে না পারায় আমের গায়ে কালো দাগ পড়েছে। এ কারণে আকৃষ্ট হচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। গেল বছর এই সময়ে যে বাগান ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার সেই বাগান বেচতে হচ্ছে ২ লাখ টাকায়। লকডাউন আর করোনাভাইরাসের অজুহাতে ঢাকায় আম পাঠাতেও ট্রাক প্রতি ৭ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে সূর্যাপুরী, মিশ্রিভোগ, হাঁড়িভাঙ্গা, বান্দিগৌরি, আম্্রপলিসহ  বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। এ থেকে ৪৩ হাজার ৭৭ মেট্রিক টন আমের ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের আম চাষি রহমান বলেন, গেল আম্পান ঝড়ে অর্ধেক আম ঝরে গেছে। এরপরও কিছু আম টিকিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমের দর পতনে উৎপাদন খরচ তো উঠবেই না লোকসানও হবে দ্বিগুণ। একই উপজেলার বনবাড়ি গ্রামে চাষি ইমাম হোসেন বলেন, ৫০ বিঘা আম গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। আম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পানিতে ডুবে আম তুলতে হচ্ছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশলডাঙ্গী গ্রামের আম চাষি অসিম হায়াত পাঞ্জাব বলেন, অতি বর্ষণে ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি। তাই এবার আম বাগানের পরিচর্যা করা যায়নি। ফলে আমে কালো দাগ পড়েছে। ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত বছর ঢাকায় আম পাঠাতে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এবার তা বেড়ে ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। বাজরে ক্রেতার উপস্থিতি ও পরিবহন ব্যবস্থা ভালো হলে চাষিরা আমের দাম ভালো পাবে বলে আশা করা যায়। তবে অতি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতায় কিছু আমের ক্ষেতে পানি জমেছে। বৃষ্টিপাত না হলে দ্রুত পানি সরে যাবে বলে জানান তিনি।

 

 
Electronic Paper