বন্ধ স্কুলে বেতনের জন্য চাপ
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০২০
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদুল আযাহার পরও এসব প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু বন্ধের সময়ও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রানীরবন্দর সানলাইট স্কুল মাসিক বেতন আদায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেতন আদায়ে অভিভাবকদের কাছে ফোন করে চাপ দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে অভিভাবকদের। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা জানান, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের ফোন করে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এক অভিভাবক বলেন, বন্ধ স্কুলে ফোন করে তিন মাসের পুরো বেতন একসঙ্গে চাওয়া হচ্ছে।
বিষয়টা অভিভাবকদের জন্য বিব্রতকর, সঙ্গে লজ্জাজনকও বটে! গত তিন মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে বন্ধ রয়েছে, সেখানে ফোন করে টাকা চাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভাববার বিষয়। জানুয়ারিতে স্কুলে ভর্তিতে সেশন ফিসের নামে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে। তারপর মাত্র তিন মাস স্কুল চলার পরই বন্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে কবে স্কুল খুলবে সেটাও অনিশ্চিত। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষের বেতনের ভাবনা আসে কোথা থেকে।
আরেক অভিভাবক বলেন, করোনার কারণে বেতন পরিশোধের সক্ষমতা না থাকলেও তা পরিশোধ করতে হচ্ছে। বেতনটা তারা পরে নিলেও পারত। কিন্তু জুনের মধ্যে বেতন পরিশোধ না করলে জরিমানার কথা বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সানলাইট স্কুলের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান চাপ দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা বেতনের জন্য বলেছি কিন্তু চাপ দেইনি। মানবিক দিকও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।