করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
বিশ্বে বেকার হতে পারে ৩৪ কোটি মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০২০
মহামারি করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চলার পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিশ্ব। অনেক দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিশে^ ফের আসছে করোনাভাইরাসের আরও একটি প্রবাহ। এতে ফের বন্ধ হবে উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি।
তলানিতে ঠেকবে চাহিদাও। কাজ হারিয়ে ফের ঘরে ফিরতে হবে লাখ লাখ শ্রমিককে। যা বিশে^র অর্থনীতির ওপর তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে, করোনার দ্বিতীয় প্রবাহের জেরে বিশ্বজুড়ে ৩৪০ মিলিয়ন বা ৩৪ কোটি মানুষ কাজ হারাতে পারেন। আর দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন শুধু ভারতেরই ৪০ মিলিয়ন মানুষ।
সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ২০০৮-২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। গত বছর ডিসেম্বরে আড়াই কোটি মানুষের নতুন করে বেকার হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএলও। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
তারা বলছে, করোনার তা-বে শুধু ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সারা বিশ্বে ৬.৭ শতাংশ কাজের সময় নষ্ট হবে। তবে এই আশঙ্কার মধ্যেও ভারতে বেকারত্ব হার নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে সিএমআইই।
করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে বেকারত্বের হার ছুঁয়ে গিয়েছিল ২৬ শতাংশে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ শেষেই বেকারত্বের হার গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ২৩-২৪ শতাংশের মাঝামাঝি। ১৯ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিলে এই হার বেড়েছে আরও প্রায় ৩ শতাংশ। তবে সেই হারই এবার কমে দাঁড়াল ১০.৯৯ শতাংশে। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে মার্চে এই হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ।
আবার লকডাউন শিথিলের আগে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৫ শতাংশ। এরপর লকডাউন শিথিল হতে সেই হার নেমে আসে ১১.৬ শতাংশে। আর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটিতে বেকারত্বের হার নেমে এসেছে ১০.৯৯ শতাংশে।