ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনার মাঝে টাইফয়েড

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২০

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনা সংক্রমণের মধ্যে শুরু হয়েছে ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েড রোগের প্রকোপ। তবে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত রোগীরা প্রাইভেট ফিজিশিয়ানের কাছে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

 

জানা গেছে, উপজেলার সর্বত্রই মানুষ ইনফ্লোয়েঞ্জায় ভুগছেন। ইফ্লোয়েঞ্জার কারণে রোগীর জ্বরের সঙ্গে সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথাও রয়েছে। জ্বর, স্বর্দি, কাশি ও মাথা ব্যথার কারণে প্রথমেই আক্রান্তদের মাঝে করোনার ভয় শুরু হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রাইভেট চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাদের দেওয়া পরামর্শে ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় ইনফ্লোয়েঞ্জার সঙ্গে রোগীরা টাইফয়েডে আক্রান্ত।

ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েড আক্রান্ত কয়েকজন রোগী জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও মাথা ব্যথা থাকায় প্রতিবেশীদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে। অনেক প্রতিবেশী দূরত্ব বজায় রেখে চলতে শুরু করে।

কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারের চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম ও শমশেরনগর বাজারের প্রাইভেট চিকিৎসক ডা. শ্যামলেন্দু সেন শর্মা বলেন, এ সময়টা ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েডের সংক্রমণকাল। এক এলাকায় ইনফ্লোয়েঞ্জা শুরু হলে তা ভাইরাল হয়ে সর্বত্র ছড়াচ্ছে। আর এখন বৃষ্টির সময় হিসেবে পানিবাহিত রোগ টাইফয়েডে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

তারা বলেন, প্রতিদিন তারা গড়ে তিনজন করে টাইফয়েড রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন। এসব রোগীর বাসায় বিশ্রাম নিয়ে ফুটানো পানি পান করতে হবে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই বিশ্রামের সঙ্গে নিয়মিত ওষুধ সেবন করলেই ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে যাবেন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম বলেন, আবহাওয়ার কারণে এ সময়ে এসব রোগ হয়ে থাকে। তবে এ রোগের প্রাদুর্ভাব তেমন দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে।

 
Electronic Paper