ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অভিনয় থেকে অনেকটা দূরে ঐন্দ্রিলা

বিনোদন প্রতিবেদক
🕐 ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা। তরুণদের কাছে বিটিভিতে অভিনীত তার নাটকগুলো বেশ জনপ্রিয়। চ্যানেল একটি ছিল বলে তারকারা ছিলেন ভীষণ জ্বলজ্বলে। হয়তো সে কারণেই, ঐন্দ্রিলার কোচিং সেন্টারের সামনে জটলা বেঁধে ছেলেরা দাঁড়িয়ে থাকত। গৃহশিক্ষক আসছেন না। মা বলছেন, বাবার কাছে বসো।

মেয়ে বলে, বাবার কাছে বসতে ভালো লাগে না। একটু কিছু না পারলে বাবা ধমক দেয়। ‘রূপনগর’ নাটকের এ দৃশ্যের বাবা-মেয়ে বুলবুল আহমেদ ও ঐন্দ্রিলা। কিংবদন্তি বাবা চলে গেছেন। নাচ, গান, অভিনয় কমিয়ে ঐন্দ্রিলা এখন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তবে বিনোদন দুনিয়া থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাননি। দেড় বছর বয়স থেকে ঐন্দ্রিলা ক্যামেরার সামনে। অভিনয় করেছেন বহু নাটকে। ‘রূপনগর’, ‘মোহর আলী’, ‘জীবন কাহিনী’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘অভিমানে অনুভবে’সহ বহু নাটক। 

বাবার নাটকের টাইটেল গান, নিজের একক গান, নাটক ও সিনেমার জন্য গান করলেও অ্যালবাম করা হয়নি তার। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে একটি গান করেছেন। তিন বছর আগে অপূর্বার সঙ্গে ‘সাংসারিক ভালোবাসা’ নামে নাটকটি ইউটিউবে ২০ লাখবার দেখেছে লোকে। কিন্তু নাটকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সময় কোথায়? অফিস সামলে সেটা অসম্ভব। কাজের ফাঁকে নিয়মিত রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি।

যদিও বিনোদন অঙ্গনকে বেশ অনুভব করেন তিনি। তবে আক্ষেপ বা আফসোস নেই। বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। একসময় বিনোদনের প্রায় সব শাখায় প্রচুর কাজ করেছেন। বড় বড় ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন। কৈশোর ও তারুণ্যেই ঐন্দ্রিলা ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন।

সেসব মনে করে বলেন, ‘জন্মদিনে ভক্তরা কত যে উপহার পাঠাতেন। কেউ কবিতার খাতা, কেউ ছবি বড় করে বাঁধিয়ে পাঠাতেন। কোচিংয়ে গেলে ছেলেরা দাঁড়িয়ে থাকত। আমি তখন অনেক ছোট, অপ্রস্তুত বোধ করতাম।’ মার্কেটিংয়ে স্নাতক ঐন্দ্রিলার স্নাতকোত্তরের বিষয় ছিল ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া।

পড়াশোনায় ভালো ছিলেন, পরিবারের সবাই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও একে পেশা হিসেবে নিলেন। সৃজনশীল কাজ হিসেবে ভালোবেসে কাজগুলো করেন ঐন্দ্রিলা। শৈশব-কৈশোরের মতো এখনো দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান, নতুন নতুন সব জিনিস শেখার আনন্দ পান। পরিবারকে ফেসবুক ও মিডিয়া থেকে দূরে রাখেন ঐন্দ্রিলা।

 
Electronic Paper