ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা

হৃদয় ইসলাম, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
🕐 ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৫, ২০২০

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গত তিন দিন থেকে টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে সবগুলো পাহাড়ি ছড়ার পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বাঁধ ভেঙে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

দুদিনে থেমে থেমে কয়েক দফা ভারী বর্ষণ হলেও এ রাতে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কমলগঞ্জে বুধবার রাত থেকে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে ধলাই রেলসেতু এলাকায় পানি বিপদসীমার ১৯ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এটি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। 

তবে মৌলভীবাজারে অবস্থানরত জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে লাঘাটাছড়াসহ সবগুলো পাহাড়ি ছড়ার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারতের ত্রিপুরার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রিপুরা ও আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বৃষ্টির পানি সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদী দিয়ে প্রবাহিত হবে। ফলে ধলাই নদীতে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে রহিমপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত ধলাই নদীর ৫৫ কিমি এলাকার মাঝে বেশ কিছু স্থানের প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। নদীতে আরও পানি বৃদ্ধি পেলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাঁধ ভেঙে কমলগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন কমলগঞ্জের নদ-নদী ও ছড়ার দিকে সার্বিক নজরদারি করছে।

 
Electronic Paper