কুমিল্লায় করোনা ইউনিটে প্রথম দিনেই ভর্তি ৫০
জাকারিয়া মানিক, কুমিল্লা
🕐 ১০:২১ অপরাহ্ণ, জুন ০৪, ২০২০
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ ও ডেডিকেটেড ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছে। গত বুধবার এর উদ্বোধন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। উদ্বোধনের প্রথম দিনেই সেখানে ভর্তি হয়েছে ৫০ জন করোনা রোগী।
সরকারের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা স্বাগত জানালেও কুমিল্লা অঞ্চলে বেড়েই চলছে করোনার সংক্রমণ। লকডাউন সীমিত আকারে নিয়ে আসায় প্রয়োজনের তাগিদে ছুটে চলছে মানুষ। স্বাস্থ্য বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, কুমিল্লায় মেডিকেলে করোনা ইউনিট মানুষকে আশাবাদী করলেও জনসাধারণ সচেতন না হলে এই মহামারি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অধিবাসীদের একটি অংশ বিভিন্ন প্রয়োজনে কুমিল্লায় বসবাস করেন। এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সন্নিকটে হওয়ায় এই অঞ্চলের মধ্যে অতিদ্রুতই করোনা আঘাত হানে। তাই গুরুত্ব বিবেচনায় কুমিল্লা সদর আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ ও ডেডিকেটেড ইউনিট স্থাপন করা হয়।
জানা গেছে, করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য কুমিল্লায় এখন বাড়ছে অস্থিরতা। গতকাল পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে প্রায় এক হাজার সংগৃহিত নমুনা পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য জমে আছে। বর্তমানে প্রতিদিন এখানে ১৮৫টির মতো নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ জানিয়েছেন, সংগৃহিত নমুনার পরীক্ষা শেষ করতে সময় লাগবে আরো প্রায় ৫ দিন। এর মধ্যে প্রতি দিনই অন্তত ৪শ’র মতো নমুনা আসছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং লোকবল সংকটের কারণে যথাসময়ে পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর খোলা কাগজকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত ১ থেকে ২ শতাংশ রোগীর জন্য হাসপাতাল প্রয়োজন হয়। আর অপর সকলেই যার যার বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। তাই কুমিল্লায় পৃথক করোনা আইসিইউ ও ডেডিকেটেড ইউনিট স্থাপন এই অঞ্চলের মানুষের জীবন বাঁচাতে অসামান্য ভূমিকা রাখবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউসহ ১৫৫ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা ইউনিট চালু হয়েছে। এখানে সকল রোগী যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সকল প্রকার সহায়তা পাবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে চিকিৎসা দেবেন চিকিৎসকগণ। প্রতি শিফটে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সহকারী থাকবেন ৩০ জন করে। চিকিৎসা প্রদানকালীন তারা হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকবেন। প্রতি ১০ দিন পর পর এরা কোয়ারান্টিনে চলে যাবেন এবং আসবেন আবার নতুন গ্রুপ।