ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য নৈতিকতা অর্জন

মোহাম্মদ নজাবত আলী
🕐 ৭:২২ অপরাহ্ণ, জুন ০১, ২০২০

মঙ্গল কাব্যধারার অন্যতম কবি ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর এক কবিতায় বলেছিলেন, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। তিনি বৃহত্তম অর্থে ভারতবর্ষের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করেছিলেন। সময়ের ব্যবধানে ও রাজনৈতিক পালা বদলে আজ আমরা স্বাধীন। এখন আমরা বলি, আমার সন্তান যেন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। আমরা কখনো ভুলেও বলি না আমার সন্তান যেন মানুষ হতে পারে। এর কারণ পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয় এটা আমরা স্বীকার করতে চাই না।

জাতীয় জীবনের অগ্রগতির মূলমন্ত্র হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। এ কারণেই শিক্ষাকে জাতির মেরুদ- বলা হয়। শিক্ষা যে শুধু একটি জাতির মেরুদ- তা নয় বরং শিক্ষা মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। সুনির্দিষ্ট দর্শনভিত্তিক শিক্ষা মানুষকে সকল প্রকার কুপ্রবৃত্তি কুসংস্কার অসদাচরণ হতে রক্ষা করে আলোকিত মানুষ, সমাজ ও একই সঙ্গে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। আমাদের সংবিধানে উল্লেখ আছে, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। একই সঙ্গে জন্মগত অধিকার।

শিক্ষা শুধু অধিকারই নয়, জাতি গঠনের মূল স্তম্ভও বটে। এ শিক্ষা লাভে কেউ কাউকে বাধা প্রদান করতে পারে না তেমনি শিক্ষা কেউ কেড়ে নিতেও পারে না। কিন্তু করোনাভাইরাস শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাময়িকভাবে হলেও শিক্ষা কেড়ে নিয়েছে। মরণব্যাধি করোনার ভয়াবহ ছোবল থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় গত ১৮ মার্চ থেকে দফায় দফায় ১৫ জুন পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। সঙ্গত কারণে দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা এক চরম সংকটের মধ্যে পতিত হয়েছে। এ যেন লাখো শিক্ষার্থীর অনিশ্চিত গন্তব্য।

ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক। এবারে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৯৪ জন। এবারের গড় পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ। বিভিন্ন বোর্ডের পাসের হার, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯০.৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬,১৬৭ জন। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৩৪, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬,০৪৭ জন। কুমিল্লায়-৮৫.২২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০,২৪৫ জন। বরিশালে ৭৯.৭০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪,৪৮৩ জন।

যশোর বোর্ডে-৮৭.৩১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩,৭৬৪ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪.৭৫, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯,০০৮ জন। দিনাজপুর বোর্ডে-৮২.৭৩ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২,০৮৬ জন। পাসের হার সবার নিচে রয়েছে ৭৮.৭৯ শতাংশ সিলেট বোর্ড, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪,২৬৩ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০.১৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭,৪৩৫ জন। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৮২.৫১ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৭২.৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবারে ১,৩৫,৮৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতবারের চেয়ে এবারে জিপিএ ৫.০০ পাওয়া শিক্ষাথীর সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি।

ক্লাসে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া নিশ্চয়ই জরুরি, জিপিএ-৫ পাওয়াও জরুরি। কিন্তু সেটা একমাত্র বিবেচনার বিষয় হতে পারে না। ভালো মানুষ হলাম কিনা, আমার মধ্যে মানবিকতাবোধ, নৈতিকতাবোধ আছে কিনা, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠলাম কিনা, আমি সুস্থ, সুন্দর মন নিয়ে বড় হচ্ছি কি না সেটা সবার আগে বিবেচনার বিষয়। পাসের সঙ্গে শিক্ষিত হওয়া মানুষ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। সার্টিফিকেট অর্জন করা সহজ, মানুষ হওয়া কঠিন। মানবিক মূল্যবোধ, নীতি আদর্শ, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষই প্রকৃত মানুষ। কিন্তু এদিক বিবেচনায় না নিয়ে শুধু আমাদের সন্তানদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী বানাতে চাই। পাশাপাশি মানুষ হওয়ার যে তাগিদ তা অনুভব করি না।

আজকাল সার্টিফিকেট অর্জনই প্রায় সবার লক্ষ্য। আমার সন্তান কতটা মানবিক জ্ঞানসম্পন্ন হল, কতটা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হল সেদিকে কারো খেয়াল নেই। সবাই ছুটছে কোচিং সেন্টারের দিকে। সহজে পাস ও সবচেয়ে কম পড়ার জন্য এসব অবলম্বন। এ জন্য শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষালাভে তৎপর। বিদ্যা যেখানে অর্থের বিনিময়ে বেচাকেনা হয় সেখানে সুশিক্ষা মেধার বিকাশ বা শিক্ষার মান বড় কথা নয়, সার্টিফিকেট অর্জনই মুখ্য। যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করেছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে ভালো ফল অর্জন করেছে।

কিন্তু কতজন শিক্ষার্থীর প্রকৃত মেধার বিকাশ ঘটেছে এ প্রশ্ন অস্বাভাবিক, অপ্রাসঙ্গিক বা অবাস্তব নয়। আমার এ মতের সঙ্গে অনেকের দ্বিমতও থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পাস করা ও শিক্ষিক হওয়া এক বস্তু নয়, এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে মন মস্তিস্ক ও অনুশীলনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা। বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটানো। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও তাই। বর্তমান সৃজনশীল পরীক্ষা বা শিক্ষা পদ্ধতির মূল দিকই হচ্ছে মুখস্ত বিদ্যা পরিহার করে একজন শিক্ষার্থী নিজের মেধা বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বুঝে প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে তৈরি করে পরীক্ষার খাতায় সাজিয়ে লিখা।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী না হয়ে শুধু সহজে পাস ও সার্টিফিকেট অর্জনের লক্ষে প্রাইভেট কোচিং, নোট গাইডমুখী হচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভালো ফল অর্জন করা জিপিএ-৫ বা গোল্ডেন প্লাস শিক্ষার্থীর পড়ার টেবিলে বিভিন্ন নোট গাইড। আমার বিশ্বাস এতে শিক্ষার্থীর মেধার বিকাশ ও সুশিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট, কোচিং, নোট গাইডের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে না এলে মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে না। আবার পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয় যাতে করে কোনো শিক্ষার্থী ফেল না করে। এ কারণেই পাসের হারও বাড়ছে বলে অনেকে মনে করেন।

সার্টিফিকেটের সঙ্গে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা সুশিক্ষা ও শিক্ষার হারকে এক করে ফেলি যা মোটেই ঠিক নয়। একটি দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে যদি প্রকৃতপক্ষে গড়ে তোলা যায় তাহলে দেশের জন্য সবার জন্য ভালো। আর মানসম্মত শিক্ষাই পারে দেশকে সার্বিক দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এ কারণে প্রতিটি দেশ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করে থাকে। সমাজ ও যুগের চাহিদা এবং সমকালীন জ্ঞানের যে বিস্তার ঘটেছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশেও একটি শিক্ষা নীতি চালু করে।

এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেন সর্বোত্তম ফল লাভ করা যায়। সে জন্য শিক্ষা নিয়ে গবেষণা বা ভাবনার শেষ নেই। যুগে যুগে প্রতিটি দেশে জ্ঞানী গুণী মণীষীদের ভাবনায় শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে। তাই একক সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, বিয়োজন ও নিত্য নতুন প্রদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে যাতে করে তারা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়। একটি জাতিকে কীভাবে সুশিক্ষাই সুশিক্ষিত করা যায় কীভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা যায় একটি দক্ষ ও মেধাভিত্তিক সমাজ গঠন করা যায় এ নিয়ে শিক্ষাবিদদের ভাবনার শেষ নেই।

তাই বর্তমান সরকার একটি নতুন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা ও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছেন। আমরা সবাই জানি, একটি জাতির সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করছে। পাসের হারের দিক থেকে দেশ এগিয়ে গেলেও শিক্ষার মান বাড়ছে কিনা এ নিয়ে শিক্ষাবিদ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্টজনদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এখন শিক্ষার মান বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়। তবুও শিক্ষাই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যে যা-ই বলুন না কেন আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। শত ভাগ পাসের সঙ্গে শিক্ষার মান কীভাবে বাড়ানো যায় সেটাই সংশ্লিষ্ট সকলের বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত।

আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মানসিকতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকাশ লাভ করে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হয়। এটা শুধু প্রাথমিক পর্যায়েই নয় শিক্ষার সকল স্তরে হওয়া উচিত। জ্ঞান, মেধা মনন শক্তির উপযোগী এবং এ বিষয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নইলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বর্তমান ও অনাগত শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সামনে সোনালি দিন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

তাদের ভবিষ্যৎকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই রাষ্ট্রকেই শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কেননা আজকের শিশুরা নানা দিক থেকে লাঞ্ছিত, নিগৃহিত, অপমানিত হচ্ছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ তাদের এমনভাবে গড়ে উঠবে যাতে করে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে পারে। সর্বত্র জ্ঞানের বিস্তার ঘটাতে হবে।

লাখো শিক্ষার্থীর এগিয়ে যেতে হবে জ্ঞান, মেধা অর্জনে সামনের দিকে। আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার গুণগত মান সে অনুযায়ী বাড়েনি। পাস করলে সাটিফিকেট পাওয়া যতটা সহজ শিক্ষিত হওয়া ততটা সহজ নয়। আর শিক্ষা হচ্ছে অর্জনের বিষয়। এটা অর্জন করতে হয় নিজস্ব মেধা, স্বকীয়তা দিয়ে। প্রকৃত মানুষ হতে আমাদের ভাষা শিক্ষা সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজেকে বিকশিত প্রতিষ্ঠিত করতে হবে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে। এটাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট লাভ বা চাকরি পাওয়া নয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মানুষের অভ্যন্তরের মানুষটিকে খাঁটি মানুষ বানানোর প্রচেষ্টাই শিক্ষা। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য নৈতিকতা অর্জন। সকল প্রকার কুদৃষ্টি, কুপ্রবৃত্তি থেকে মুক্ত হয়ে সর্বক্ষেত্রে সততা, মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে মানুষ হওয়া। কোনো রোগ-ব্যাধি মহামারি চিরস্থায়ী নয়। করোনাও একদিন থেমে যাবে। তবে কিছু সময় লাগতে পারে।

এটি সামগ্রিক দিক থেকে সাময়িকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করলেও এদেশের শিক্ষাপ্রিয় শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ দায়িত্বে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ইচ্ছাই বড় শক্তি। তাই ইচ্ছা করলে তারা ঘরে বসেই সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। সার্টিফিকেট অর্জনের পাশাপাশি আমার সন্তান যেন প্রকৃত মানুষ হতে পারে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। কর্মজীবনে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য যে পেশায় প্রবেশ করুক না কেন সততা, নৈতিকতা, শুভবুদ্ধির জাগরণ ঘটাতে হবে। যা করা উচিত, যা করা উচিত নয় এ মানবিক মূল্যবোধের, মনুষ্যত্বের অধিকারী হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত।

 

মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলাম লেখক

 
Electronic Paper