ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রেলগাড়ী স্কুল

শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৩১, ২০২০

প্রথম দর্শনে মনে হবে সুগন্ধা নদীর ধারে শেডের নিচে দাঁড়িয়ে আছে বাহারি রঙয়ের কোন রেল গাড়ী। এটি ঝালকাঠি শহরে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল। ২০১৯ সালের জুন মাসে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ স্কুলে ২১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। শহরের অত্যন্ত দর্শনীয় ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে এ স্কুলটি দৃষ্টি কেড়েছে সবার।

কথা হলো রেল গাড়ীর আদলে স্কুলটির পেইন্টিংয়ের কারিগর চিত্রশিল্পী তাপস কর্মকারের সঙ্গে। তাপস খোলা কাগজকে বলেন, এ ধরনের কাজ এটাই আমার প্রথম। এটা এত সাড়া জাগাবে ভাবতে পারিনি।

তিনি বলেন, স্কুলের সভাপতি জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী আমাকে এই ধরনের পেইন্টিং করার ধারণা দেন। ভারতে তিনি এরকম একটি স্কুলের অবয়ব দেখে আমাকে এটি করতে বলেন। তার পরিকল্পনায় আমি এটির কাজ শুরু করি। 

শিল্পী তাপস কর্মকার ভারতে পেইন্টিংয়ের ওপর কোর্স করেছেন। বর্তমানে তিনি ঝালকাঠি শহরেই থাকেন। অনেক গুণী মানুষের দৃষ্টিনন্দন ছবি এঁকেছেন তাপস। তার পেইন্টিংয়ে ফুটে উঠেছে প্রকৃিতর অকৃত্রিম সৌন্দর্য। এছাড়া দুটি বইয়ের প্রচ্ছদও এঁকেছেন তিনি। তাপস কালেক্টরেট স্কুলের অংকন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন।

জেলা প্রশাসন পরিচালিত এই স্কুলটির প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহের কমতি নেই। উন্নত পরিবেশ, আসা যাওয়ার সহজ পথ এবং দৃষ্টিনন্দন অবয়বের কারণে এখানে শুরুতেই ২১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিী ছাত্র প্রতিক হাসান বলেন, এখানে আমি খুবই মজা পাচ্ছি। এর আগে আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে পড়তাম। সেখানের সহপাঠিদের আমার স্কুলের ছবি পাঠিয়েছি। তারাও স্কুলের ছবি দেখে মুগ্ধ। একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফারুক হোসেন বলেন, আমি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। এ ধরনের পেইন্টিং করা স্কুল এই প্রথম দেখলাম। প্রথম দর্শনেই যে কারো ভালো লাগবে স্কুলটি।

জানা যায় ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রশাসক হামিদুল হক প্রথমে সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্ক সংলগ্ন এই স্কুলটি করার পরিকল্পনা করেন। তার সময়েই এর স্থাপনা নির্মিত হয়। বর্তমানে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্কুলটি পরিচালিত হচ্ছে। ঝালকাঠির দুটি সরকারি স্কুলের বাইরে এ ধরনের স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরো উন্নত শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।

 

 
Electronic Paper