ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রক্ষক যখন ভক্ষক

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ১:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২০

বন রক্ষকের দায়িত্ব পাল করে থাকেন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অথচ নেই রক্ষকই এখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বাগেরহাটের মোংলায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশনের এসও আনোয়ার হোসেন খাঁন নিজেই সুন্দরী ও কাঁকড়া গাছ কেটে তা পাচার করছিলেন। গাছ পাচার কাজে ব্যবহার করা হয় বন বিভাগের পতাকাবাহী ট্রলার।

সুন্দরবন থেকে খোদ বন কর্মকর্তার গাছ কেটে পাচারের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন তদন্ত শুরু করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খুলনা রেঞ্জের বন সংরক্ষক মঈন উদ্দিন খাঁন। তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই এসও আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশনের কর্মকর্তা (এসও) মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন ঘাগরামারি এলাকা থেকে সুন্দরী ও কাকড়া গাছ ট্রলারযোগে পাচার করছিল। গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাচার কাজে ব্যবহার করা হয় বনবিভাগের পতাকাবাহী ট্রলার। গাছ পাচারকারী তরুণ বলেন, এ গাছ তাদের এসও আনোয়ার ঘাগরামারী থেকে কেটে আনার অনুমতি দিয়েছেন। তবে ঢাংমারী স্টেশনের এসও আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, ‘ঘাগরামারী টহল ফাঁড়ি থেকে এ গাছ আমাদের স্টেশনের (ঢাংমারী) স্থাপনা তৈরির কাজে আনা হচ্ছিল। এ ব্যাপারে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা রয়েছে।

তবে বন বিভাগের পতাকাবাহী ট্রলারে গাছ নিয়ে আনার সময় ছিল না কোনো বনরক্ষী, ছিল তিনজন পাচারকারী। এ ঘটনায় বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমির হোসেন চৌধুরী জানান, কাছ কাটার ভিডিও এবং নিউজ দেখেছি, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তাই সুন্দরবনের গাছ কাটার ঘটনায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা সমস্বয়কারী মো. নুর আলম শেখ বলেন, বন বিভাগের অসাধু কর্তা ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বনের গাছ কেটে পাচার হচ্ছে যা প্রত্যক্ষভাবে সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি বলেন, এতেই প্রমাণ হয় সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই বনকে রক্ষা করতে হলে বন বিভাগের ওপর আস্থা না রেখে সরকারের উচিত বিশেষ নজরদারি করা।

 
Electronic Paper